কয়েকজন কিংবদন্তি ফুটবলার পরিচিতি! না ফেরার দেশে ফুটবলের রাজপুত্র ম্যারাডোনা!

ফেরার দেশে ফুটবলের রাজপুত্র ম্যারাডোনা!

লিওনেল মেসি:

৫টি ব্যালন ডি’অরের মালিক। ৬ বার ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা। আধুনিক দিয়েগো মারাদোনা তিনিই। বার্সেলোনার হয়ে ১০ নম্বর জার্সিতে ৪৯৪ ম্যাচে ৪৪৮টি গোল করেছেন। ২০১২ সালে এক ক্যালেন্ডার বছরে রেকর্ড ৯১টি গোল করেন। এই ১০ নম্বর জার্সিধারীর জন্য বার্সেলোনা তাদের ইতিহাসে সাম্প্রতিক সময়ে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে।

বার্সাকে ১০টি স্প্যানিশ লিগ, ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৬টি কোপা দেল রে, ৮টি সুপার কোপা, ৩টি উয়েফা সুপার কাপ, ৩টি ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ দিয়েছেন মেসি।

জিকোঃ:

মাঠে নামলে তাঁর পজিশন ঠিক কী, সেটাই গুলিয়ে যেত সবার। এ রকম অলরাউন্ডার ১০ নম্বরধারী ফুটবল ইতিহাসে আর আসেননি। এমনিতে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার, দ্বিতীয় স্ট্রাইকার বা ইনসাইড ফরোয়ার্ড, এমনকি পুরোদস্তুর ফরোয়ার্ড হিসেবেও অনায়াসে রাজত্ব করেছেন। মূলত ডান পায়ের প্লেয়ার হলেও বাঁ পা-ও সমান সচল ছিল। ছিলেন সেটপিস বিশেষজ্ঞও।

জিনেদিন জিদান:

ফুটবলে তাঁর স্টাইল এবং সূক্ষ্মতা কতটা, সেটা ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রিয়েল মাদ্রিদের হয়ে জয়সূচক গোলটা দেখলেই বোঝা যায়। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে তাঁর জোড়া গোলেই ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নেয় ফ্রান্স। তবে ৮ বছর পরে ২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইতালির মার্কো মাতেরাজ্জিকে মাথা দিয়ে গুঁতো মেরে লাল কার্ড দেখেন। সেটাই ছিল জাতীয় দলের হয়ে তাঁর শেষ বারের মতো ১০ নম্বর জার্সি গায়ে তোলা।

জোহান ক্রুয়েফ:

লিওনেল মেসিরা বার্সেলোনায় এখন যে ঘরানার ফুটবল খেলেন, তার জনক জোহান ক্রুয়েফ। আর এই ‘টোটাল ফুটবল’-এর জন্ম সাতের দশকের হল্যান্ড দলের হাত ধরে। ক্রুয়েফ না থাকলে রেনাস মিশেলের ‘টোটাল ফুটবল’ দেখতেই পেত না ফুটবল বিশ্ব। ‘ফ্লাইং ডাচম্যান’-এর দেখানো পথেই পরবর্তীতে নেদারল্যান্ডস ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন রুড খুলিট, মার্কো ভ্যান বাস্তেন, ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডরা।

দিয়েগো মারাদোনা:

নাপোলির সঙ্গে মারাদোনার ১০ নম্বর জার্সি এতটাই সমার্থক ছিল যে তিনি খেলা ছাড়ার পর ১০ নম্বর জার্সি চিরতরে তুলে রেখে দেয় ইটালির এই ক্লাব। সেই জার্সি আবার বের হয় মারাদোনা প্রয়াত হওয়ার পরে। নাপোলির গোটা দল ১০ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামে। সেরা ১০ নম্বর কে, তা নিয়ে পেলের সঙ্গে লড়াই শুধু তাঁরই।

এই জার্সিতেই আছে মিথ হয়ে যাওয়া ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ‘হ্যান্ড অফ গড’ গোল এবং সেই ম্যাচেই কিছু ক্ষণ পরে সেই অবিস্মরণীয় গোল।এই এক যেন ভিনদেশের খেলোয়াড়। এসেছিলেন আমাদের এই গ্রহে। করে গেলেন রাজ ফুটবলে। জায়গা করে নিয়েছেন শত শত মানুষের মনে। খুব বেশিদিন খেলতে পারেননি তিনি। নানা বিতর্ক হয়েছিল তার জীবনে। মাদক থেকে শুরু করে নারী কেলেঙ্কারি পর্যন্ত।

যেসব বিতর্ক সঙ্গে জড়িয়ে তবু সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এই কিংবদন্তি ফুটবলার আমি কিংবদন্তির কথা বলছি আমি ফুটবলের কথা বলছি। তিনি হলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনা। কিছুদিন আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন সবাইকে কাঁদিয়ে।

Comments are closed.