কয়েকটি নিষিদ্ধ সিনেমা
কয়েকটি নিষিদ্ধ সিনেমা
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমরা তদন্ত টিম প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি আপনাদের নতুন নতুন কিছু অজানা তথ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য। তারই প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত টিম আজকে আলোচনা করব আরও কিছু অজানা বিষয় নিয়ে। যা আপনাকে জ্ঞ্যানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে।
বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সিনেমা। আমাদের আশেপাশে রয়েছে অনেক সিনেমা প্রেমী মানুষ। তারা এতটাই সিনেমাপ্রেমী চেয়ে সিনেমা যেন তাদের রক্তের সাথে মিশে আছে। সিনেমাকে বলা হয় সমাজের বার্তাবাহক। সিনেমার মাধ্যমেই সমাজকে কিভাবে ভালো করা যাবে সেরকম কিছু দিক উপস্থাপন করা হয়।
কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু সিনেমা সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। বর্তমানে সভ্য সমাজে কিছু কিছু অসভ্য সিনেমা রয়েছে যেগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তেমনি কয়েকটি সিনেমা নিয়ে আজকের আলোচনা। চলুন জেনে নেয়া যাক নিষিদ্ধ কয়েকটি সিনেমার নাম। এবং কি কারণে নিষিদ্ধ হয়েছে। এসব সিনেমা তার কারণ।
১. ক্যানিবাল হলোকাস্টঃ
বিশ্বের ৪০টি দেশে নিষিদ্ধ। অনেকেই বলেছেন, ছবিটি দেখার পর অসুস্থ বোধ করেছেন। ছবিটি একটা ফেক ডকুমেন্টারির ওপর তৈরি। যেখানে ক্যানিবালিজম, গণহত্যা, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনকে অতি জঘন্যভাবে দেখানো হয়েছে। ছবির শ্যুটিংয়ে সত্যিকারের পশু হত্যা করা হয়েছে। ছবির পরিচালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে অভিনেতা, অভিনেত্রীকেও নাকি সিনেমার সময় খুন করা হয়। অবশ্য সেটা প্রমাণিত হয়নি।
২. ব্যাক টু দা ফিউচারঃ
টাইম ট্র্যাভেলের ওপর তৈরি হওয়া মজার ছবি। আনন্দের ছবি। কিন্তু চিনে এই ছবি নিষিদ্ধ। কারণ ছবিতে অনেকসময় ভবিষ্যতে যাওয়া হয়েছে। যা নাকি চিনের সরকারের নিয়ম বিরুদ্ধ। একইসঙ্গে ছবিকে কুসংস্কারে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ জানানো হয়েছে। তা ছাড়া নাকি ছবিতে দেখানো হয়েছে বেইজিংয়ের থেকেও থাকার ভাল জায়গা রয়েছে, যা সরকার।
- Advertisements -
৩. দ্য সিম্পসনঃ
গোটা বিশ্ব তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছে এই কার্টুন সিনেমা। কিন্তু বার্মায় এক অদ্ভুত কারণে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এই সিনেমাকে। বার্মা সরকারের অভিযোগ এই সিনেমায় হলুদ রঙকে প্রচার করা হয়েছে। হলুদ রঙ বার্মা সংস্কৃতির কাছে নাকি অপমানকর।
৪. থ্রি হানড্রেডঃ
যুদ্ধের ওপর তৈরি হওয়া হলিউডের অন্যতম সেরা এই ছবি নিষিদ্ধ ইরান ও আরবের কিছু দেশে। জাতিসংঘের কাছে এই ছবি নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ইরান বলেছে, থ্রি হানড্রেড তাদের দেশকে অপমান করতে মার্কিনীদের একটা চক্রান্ত।
৫. ক্লক ওয়ার্ক অরেঞ্জঃ
স্ট্যানলি কুবরিকের এই সিনেমা গ্রেট ব্রিটেনে ২৭ বছর ধরে নিষিদ্ধ ছিল। অত্যধিক মারামারি, পাশবিক ধর্ষণের দৃশ্য থাকায় এই সিনেমাকে কিছুতেই গ্রেট ব্রিটেনে দেখানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। মার্কিন মুলুকে অবশ্য বেশ প্রশংসা কুড়ায় এই সিনেমা।
এসব সিনেমা অনেকটা প্রশংসিত হলেও। বিভিন্ন কারণে অর্থাৎ ধর্মীয় ইস্যু, অশ্লীলতা ইস্যু, রাজনৈতিক ইস্যু এসব কারণে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সিনেমা নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এসব সিনেমা সত্যিই অনেক ভালমানের সিনেমা।
বিভিন্ন সিনেমার পটভূমি বিভিন্ন হওয়ায় বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে অনুভূতিতে আঘাত লাগার কারণে বিভিন্ন দেশে এই সব সিনেমাগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
- Advertisements -