কেন আরব শেখরা হুবারা বাস্টার্ড পাখি শিকার করেন

কেন আরব শেখরা হুবারা বাস্টার্ড পাখি শিকার করেন

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমরা তদন্ত টিম প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি আপনাদের নতুন নতুন কিছু অজানা তথ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য। তারই প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত টিম আজকে আলোচনা করব আরও কিছু  অজানা বিষয় নিয়ে। যা আপনাকে জ্ঞ্যানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে।

হুবারা বাস্টার্ড এমন একটি পাখি যা পশ্চিমা দেশগুলোতে পাওয়া যায়। এই পাখিটি সাধারণত শীতপ্রধান দেশে পাওয়া যায়। মূলত পৃথিবীতে একটি বিলুপ্তপ্রায় পাখি। এবং এটি অত্যন্ত উপকারী একটি পাখি। বিভিন্ন কারনে এই পাখিটি আমাদের উপকার করে থাকে।

তার মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য উপকার হলো

১. যৌন চাহিদা বৃদ্ধি

হুবারা বাস্টার্ড  পাখির মাংস খেলে যৌন চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এবং যাদের যৌনতায় দুর্বল রয়েছে তাদের যৌনতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকেন। তাই এই পাখিটি শিকার  করে খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এবং এ কারণেই এই পাখিটির তাহলে পৃথিবীতে বিলুপ্তপ্রায়।

২. আয়ু বৃদ্ধির জন্য

অনেকেই মনে করেন এই পাখিটি ভক্ষণ করলে আয়ু বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ এই পাখিটি ভক্ষণ করলে যেকোন জটিল জটিল রোগ আক্রমণ করতে পারে না। তাই অনেকে এই পাখিটি শিকার করে খেয়ে থাকেন। যার ফলে এই পাখিটি এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

কেন শিকার হয়ে থাকে হুবারা বাস্টার্ড পাখি

হুবারা বাস্টার্ড পাখির মাংস ভক্ষণ করলে যৌন চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। অর্থাৎ যাদের যৌন দুর্বল তারা যুবকের মত যোগ্যতা ফিরে পায়। তাই হুবারা বাস্টাড পাখিটি অনেকেই শিকার করে খেয়ে থাকেন।

এবং এ কারণেই এই পাখিটি অনেকেই শিকার করেন আবার অনেকেই মনে করেন এই পাখিটি ভক্ষণ করলে তাদের আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। অর্থাৎ তারা অনেকদিন বেঁচে থাকতে পারবে।  তাই অনেকেই এই পাখিটি শিকার করে থাকেন।

পশ্চিমা দেশগুলো থেকে এই পাখিটি শীতকালে চলে আসে পাকিস্তানের। আর পাকিস্তান ছাড়া অন্যান্য কোন দেশে এই পাখিটি পাওয়া যায় না। তাই সৌদি শেখ রা এ পাখিটি পাকিস্তানের ধরতে যা।

আর পাকিস্তান এই পাখিটি ধরার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছেন। কিন্তু তারা শুধু সৌদি আরবকে এই পাখিটি ধরার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। আর এর ফলে সৌদি রাজপরিবার থেকে তারা প্রতিবছর অনেকগুলো করে টাকা পায়। যার ফলে দেশে ফেরা প্রতিবার পাকিস্তানের এসে শীতকালে এই পাখিটি ধরে নেয় সৌদিরা এবং শিকার করে।

হুবারা বাস্টার্ড পাখি শিকার করার পদ্ধতি

প্রথমে সৌদি সেক্রা এই পাখিটির পায়ের ছাপ দেখে মরুভূমিতে তারা হুবারা বাস্টার্ড এর পায়ের আচর  দেখে। এই পাখিটির গতিবিধি লক্ষ্য করে থাকেন এবং তারপর যখন তারা পাখিটির গতিবিধি লক্ষ্য করার পর।

একটি বাজ পাখি সেই পাখি শিকার করার জন্যে বাকিদের করতে হয় না। এই পাখিটি বাজপাখি শিকার করে নেয়। এবং পাখি শিকার করার ফলে তারা খেয়ে নেয়।

এই পাখি শিকার করার অনুমতি ফলে সৌদি শিকরা প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা পাকিস্তানি সরকারের হাতে তুলে দেয়। যার ফলে সরকার পাকিস্তানের সরকার সৌদি শেখদের এই পাখি ধরার অনুমতি দিয়েছে।

আশা করি আপনারা আপনাদের অনেক অজানা তথ্যের রহস্যময় উত্তর পেয়ে গেছেন। আমরা আমাদের পরবর্তী আলোচনায় আপনাদের আরো কিছু রহস্যময় প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। সুস্থ  থাকুন, পাশে থাকবেন। চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইট তদন্তে।

You might also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More