কেন বাংলাদেশে বিলুপ্তির পথে ডলফিন?

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমরা তদন্ত টিম প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি আপনাদের নতুন নতুন কিছু অজানা তথ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য। তারই প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত টিম আজকে আলোচনা করব আরও কিছু  অজানা বিষয় নিয়ে। যা আপনাকে জ্ঞ্যানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে।

ডলফিন একটি সমুদ্র জাতের মাছ। যা দেখতে অনেকটা তিমির মত। ডলফিন এলাকায় একটি মাছ জাতীয় প্রানী। যে  প্রানী গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। বিভিন্ন দেশের ডলফিন  সংখ্যা বিভিন্ন রকম।

পৃথিবীতে  বাংলাদেশের সংখ্যা কম বাংলাদেশের ডলফিন এর সংখ্যা কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে এমন একটি প্রাণী। যে প্রাণীটি অনেক শান্ত প্রকৃতির।

ডলফিন বিলুপ্তির বিভিন্ন কারণের মধ্যে আমাদের আজকের আলোচনা কয়েকটি কারণ নিয়ে। কি কারনে ডলফিন বাংলাদেশ অনেক কমে  যাচ্ছে।

চলুন শুরু করা যাক আলোচনাটি যে কারণে বিলুপ্তির পথে বাংলাদেশ

নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে অনেক নদী রয়েছে। আর এই সব নদী মিশে গেছে বঙ্গোপসাগরে। বঙ্গোপসাগরে মিশে যাওয়ার ফলে এসব নদীতে বিভিন্ন সময় পানি বৃদ্ধি হয়।

এবং সাগর থেকে বিভিন্ন বড় বড় মাছ আসে এইসব নদীতে এবং যখন মাছ এইসব নদীতে আসে তখন জেলেরা মেতে ওঠে মাছ ধরার আনন্দে। তারা মাছ ধরে জীবিকা অর্জন করেন। আর এই সময়ে যে সমস্ত মাছ পাওয়া যায় তার অন্যান্য সময়ে পাওয়া যায় না। তাই তারা একটি সময় শুধু এই পানির সময়ে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন করে।

অর্থাৎ পুরো বছরে তাদের আর মাছ ধরতে হয় না। তারা এত পরিমাণ বাজে এই সময়ে যে তাদের অন্য সময়ে মাছ ধরা লাগেনা একটি সময়ে মাছ ধরে তা বিক্রি করার ফলে তা দিয়ে তারা জীবিকা অর্জন করতে পারে।

আর এই সময়ে যখন নদীর পানি বৃদ্ধি হয় তখন সমুদ্র থেকে বিভিন্ন রকমের বড় বড় শুশুক জাতীয় ডলফিন নদীতে প্রবেশ করে। এবং নদীতে প্রবেশ করার ফলে সেগুলো বিভিন্ন গ্রাম বাংলার নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ে যায়।যার ফলে জেলেরা এগুলোকে বড় বড় মাছ ভেবে বিক্রি করে ফেলেন।

বা জেলেরা এগুলা কেটে ফেলে এবং বড় মাছ হিসেবে বিক্রি করে। কিন্তু আসলেই সব মানুষের শিক্ষার অভাবে আজ এ অবস্থা। কিন্তু আমরা শিক্ষার অভাবে অনেক  দিন ধরে এসব ডলফিন ধরে খেয়ে ফেলি বড় মাছ হিসেব।   কিন্তু আসলে এসব ডলফিন খাওয়ার উপযুক্ত না।

এসব ডলফিন আমাদের পরিবেশে বিভিন্ন রকমের উপকার করে থাকে। আমরা যদি এইসব ডলফিন ধরে ধরে খায়। তাহলে আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হব। তাই আমাদের উচিত এসব ডলফিন না খাওয়ার কারণ এইসব ডলফিন এর বিভিন্ন রকমের চর্বি বা ফ্যাট রয়েছে।

কিন্তু আমরা শিক্ষা হবে এইসব ডলফিন ধরে ধরে নষ্ট করে ফেলি। আমরা যদি সঠিকভাবে জানতাম যে এসব ডলফিন আমাদের পরিবেশের কতটা উপকার করেন। তাহলে আমরা আর এইসব প্রকৃতির সৌন্দর্য নষ্ট করতাম না।

যার ফলে ডলফিন বিলুপ্ত হত না। আমরা আমাদের শিক্ষার অভাবের কারণে প্রতিনিয়ত এভাবেই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করতেছি। যা পরবর্তীতে আমাদের চরম মূল্য দিতে বাধ্য করবে।

আশা করি আপনারা আপনাদের অনেক অজানা তথ্যের রহস্যময় উত্তর পেয়ে গেছেন। আমরা আমাদের পরবর্তী আলোচনায় আপনাদের আরো কিছু রহস্যময় প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। সুস্থ থাকুন, পাশে থাকবেন। চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইট তদন্তে।