চন্দ্রযান ২ ও বিক্রম ল্যান্ডারের লেটেস্ট আপডেট
চন্দ্রযান 2 এর লেটেস্ট আপডেট
ইসরো (ISRO) Indian Space Research Organization
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশন (Indian Space Research Organization) কঠিন পরিশ্রম আর সাহসিকতার সাথে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। চন্দ্রযান ১ এবং মঙ্গলযানের মতো কঠিনতম মিশন আমাদের ইসরো (ISRO) সফলতার সাথে করে দেখিয়েছে।
আর চন্দ্রযান ২ আমাদের ভারতের মূল মিশন। যেটার জন্য চোখ মেলে চেয়েছিল গোটা দেশ। মধ্যরাতে চাঁদের মাটিতে ইসরোর (ISRO) এই সফল অভিজান দেখার জন্য, ইসরোর (ISRO) কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিক্রমের সাথে যযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর (ISRO) মিশন কন্ট্রোলারদের সাথে।
চন্দ্রযান ২ মিশন
গত ২২ জুলাই ২০১৯ এ লঞ্চ করা হয়েছিল ইসরোর চন্দ্রযান ২ মিশন টি। এই মিশনটি তিনটি অংশে বিভক্ত ছিল। এর প্রথম টি অরবিটার, দ্বিতীয় টি হল ল্যান্ডার, আর তৃতীয় টি রোভার ছিল।
অরবিটার: মিশন টি লঞ্চ হবার ২৮ দিন পর, মানে কুড়ি আগস্ট ২০১৯ এ চন্দ্রযান ২ এর অরবিটার সফল ভাবে চাঁদের অরবিটে স্থাপন হয়ে যায়।
ল্যান্ডার: এরপর ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের স্পর্শের অপেক্ষায় ছিল গোটা দেশ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে ৭ তারিখ ১ টা বেজে ৩৮ মিনিটে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের ল্যান্ড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেকেন্ডে ১.৮ কিলোমিটার থেকে যান টির গতিকে কমিয়ে আনা শুরু করা হয়। সেই পর্যায়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইসরোর (ISRO) কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।
চাঁদের পৃষ্ঠ হতে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই চলছিল বিক্রমের ল্যান্ডিং প্রক্রিয়া। কিন্তু কি কারণে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, সেটা সম্পর্কে ইসরো (ISRO) এখনো সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি। ইসরোর এই মুন মিশন টিতে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ল্যান্ডারকে চাঁদের বুকে ল্যান্ড করানো। ল্যান্ডার কে চাঁদের বুকে ল্যান্ড করানোর এই ১৫ মিনিট সময় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এইখানে এসে এর পূর্বেও অনেক মিশন ফেল হয়ে গেছে।
নরেন্দ্র মোদীর মতামত
চন্দ্রযান ২ এর ল্যান্ডারের ওজন ছিল ১৪৭১ কেজি। এই ল্যান্ডার টির ভিতরে ছিল সাইন্টিফিক পিলোট। যেগুলো চাঁদের সারফেসে সাইন্টিফিক এক্সপেরিমেন্ট করত। ইসরোর পরিকল্পনা অনুসারে এই ল্যান্ডারকে চাদের বুকে ল্যান্ড করার জন্য ল্যান্ডার থ্রাস্টকে অপজিট ডিরেকশনে ফায়ার করবে। যেটা ল্যান্ডিং কে সফট এবং স্মুথ করবে। কিন্তু চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার উপরে থাকা অবস্থায়, এই ল্যান্ডারের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মিশন কন্ট্রোল রুমের।
যা সমস্ত সাইন্স লাভার সহকারে সমস্ত ভারতবাসীর জন্য একটি দুঃখের সংবাদ। ল্যান্ডার বিক্রমের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতেই, ইসরোর বিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। এবং তার জন্যই সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝানোর জন্য ছুটে যান, ইসরোর চেয়ারম্যান কেসিব্যান।
ইসরোর মিশন কন্ট্রোল ছাড়ার আগে সেখানে হাজির কর্মী ও বিজ্ঞানীদের সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই। তিনি বলেন এখনো সাফল্য অধরা থাকলেও আপনারা যা করেছেন সেটাই বা কম কি?? আমি আপনাদের সাথে আছি। হাল ছাড়বেন না। আপনাদের পরিশ্রমেই ফের আনন্দে মাতবে গোটা ভারতবাসী।
বন্ধুরা চন্দ্রযান ২ এর বিক্রম সম্পর্কে এখন পর্যন্ত ইসরো সঠিক কোন তথ্য আমাদের দিতে পারেনি। চন্দ্রযান টু এর অরবিটার সঠিকভাবে কাজ করলেও ল্যান্ডার বিক্রম কেন সঠিকভাবে চাঁদের বুকে ল্যান্ড করতে পারেনি তা এখনো জানায়নি ইসরো।