চাঁদ কি আসলে একটি এলিয়েন গ্রহ ?
চাঁদ কি আসলে কোন এলিয়েন গ্রহ ?
হ্যালো বন্ধুরা,
রাতের আকাশে চাঁদের উজ্জলময় সুন্দর দৃশ্য, আমাদের সকলের নজর কেড়ে নেয়। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ, বরাবর মহাবিজ্ঞানীদের দৃষ্টি নিজের প্রতি আকর্ষিত করে এসেছে। আজকে আমরা এত উন্নত হয়েছি যে, আমরা মঙ্গল গ্রহে পৃথিবীর মানুষের তৈরি করা যান পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ভবিষ্যতে সেখানে বসতি স্থাপন করতে চলেছি। কিন্তু আমরা এত আধুনিক হওয়া সত্ত্বেও, আমাদের পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মহাকাশের বস্তু চাঁদ সম্পর্কে আমরা বেশি কিছু জানি না। এই চাঁদ গ্রহটি সম্পর্কে এমন কিছু রহস্য আছে, যার উত্তর আজও বিজ্ঞনীদের কাছে অজানা রয়েছে। আজকে আমরা চাঁদের বৈশিষ্ট্য ও বর্ণনা সহ সমস্ত কিছু জেনে নেব।
বন্ধুরা,
আজকের এই পোস্টে, আমি আপনাদের চাঁদ সম্পর্কিত এমন কিছু তথ্য জানাবো। যেগুলো জানার পর চাঁদ গ্রহটিকে আপনি নিজেও অন্য নজরে দেখবেন। অথবা ভাববেন যে, চাঁদ কি সত্যিই কোনো এলিয়েন স্পেসশিপ? তাই দেরি না করে চলুন শুরু করি। আজকে আমরা চাঁদের বৈশিষ্ট্য ও বর্ণনা সহ সমস্ত কিছু জেনে নেব।
চাঁদ সম্পর্কে এমন কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়া গেছে, যেগুলো ইঙ্গিত দেয় যে চাঁদ আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিম হতে পারে। অর্থ্যাৎ, কোন উন্নত সভ্যতা দ্বারা তৈরি করা স্পেসশিপ, স্যাটেলাইট প্লানেট বা স্পেস স্টেশন। যা আমাদের উপর যুগ যুগ ধরে নজর রাখতেছে।
বিস্তারিত তথ্য:
১. নাসা অ্যাপোলো মিশন (NASA Apollo Mission):
নাসা অ্যাপোলো মিশন এর সময়, একটি পরীক্ষা করে ছিল। ঐ পরীক্ষায় নাসা একটি লুনার মডুলকে ইচ্ছা করে চাঁদের জমিনে ক্রাস ল্যান্ডিং করিয়েছিল। যখন সে লুনার মডুল টি চাঁদের সাথে ধাক্কা খেয়েছিল, তখন চাঁদে ভূমিকম্পের মত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর চাঁদে একটি ঘন্টির মত অনেক সময়ব্যাপী বাজতে থাকে। এই ঘটনা নাসার বিজ্ঞানীরা জানার পর অবাক হয়ে যায়। কারণ, এমন ঘটনা তখন সম্ভব হবে, যদি চাঁদ ধাতু দ্বারা তৈরি করা হয়। এবং ভিতরের দিক থেকে ফাপা হয়।
কিন্তু, একটি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়া উপগ্রহ কখনই ফাপা হতে পারে না বা হওয়ার কথা না।
২. চাঁদে পাওয়া পাথর ও ম্যাটেরিয়াল:
যখন মহাকাশবিজ্ঞানীরা চাঁদে পাওয়া পাথর ও ম্যাটেরিয়াল এর পরীক্ষা করে। তখন তারা টাইটেনিয়াম, ইউরেনিয়াম টু থার্টি সিক্স, আর নেপচুনিয়াম টু থার্টি সেভেন এর মতো এলিমেন্টস পায়। যেগুলি আসলেই খুব শক্ত ধাতু । এবং যার প্রয়োগ স্পেসশিপ এর বাইরের অংশ বানাতে প্রয়োগ করা হয়। যাতে সেটি বেশি তাপমাত্রা ও চাপ সহ্য করতে পারে।
৩. চাঁদের ঘনত্ব:
পৃথিবীর ঘনত্ব 5.51 g/cm³. যেখানে চাঁদের ঘনত্ব 3.34 g/cm³. আর চাঁদের ভর এর আয়তনের তুলনায় অনেক কম। যেটি একটি ইঙ্গিত করে যে চাঁদ ভেতরের দিক থেকে ফাপা।
৪. চাঁদের গঠন:
- Advertisements -
অন্যান্য সব গ্রহ বা উপগ্রহের উপরের অংশের জমি হালকা পদার্থ বা ধাতু দ্বারা গঠিত হয়। এবং তার ভিতরের অংশ পদার্থ দ্বারা গঠিত হয়। কিন্তু চাঁদের উপরিভাগের অংশ ভারী পদার্থ দ্বারা গঠিত। যা কোন স্পেসশিপের ঢাল বলে মনে হয়। সাথেই চাঁদের বিভিন্ন অংশের গ্র্যাভিটি বা মধ্যাকর্ষণ শক্তি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যার মানে দাঁড়ায় চাঁদের জমির নিচে আলাদা আলাদা জায়গায় আলাদা আলাদা মেশিন বা ইঞ্জিন লাগানো আছে। এবং হতে পারে ইঞ্জিনগুলো নিউক্লিয়ার ইঞ্জিন। কারণ চাঁদের জমিতে পাওয়া ইউরেনিয়াম টু থার্টি সিক্স এবং নেপচুনিয়াম হল রেডিও একটিভ নিউক্লিয়ার ওয়েস্ট।যেটি কোন নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
এবার এখানে আমাদের মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে, যদি চাঁদে কোন এলিয়েন দের দ্বারা ইঞ্জিন লাগানো থাকে, তবে ঐ ইঞ্জিনের পোপালসার নিকাশদার বা এক্সাক্ট নজেল দেখা যায় না কেন।
তো বন্ধুরা এর প্রধান কারণ হতে পারে যে, আমরা পৃথিবী থেকে কেবলমাত্র চাঁদের এক দিকের অংশই দেখতে পারি। চাঁদের লুকিয়ে থাকা পেছনের অংশে কি আছে এটা আমরা কখনোই দেখতে পারি না। তবুও নাসা তাদের অ্যাপোলো মিশন এর সময় একটি আশ্চর্য বিষয় লক্ষ্য করেছিল। নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা চাঁদের জমি থেকে এক ধরনের আজব আলোক রশ্মি বের হতে দেখতে পেয়েছিল। এই ঘটনাটিকে তারা ক্যামেরায় রেকর্ড করেছিল।
তাহলে কি এগুলো চাঁদের ভিতর লাগানো পোপালসার নিকাশদার?
৫. অন্যান্য নিদর্শন:
চাঁদের জমিতে এমন কিছু বস্তু বা নির্মাণ দেখা গিয়েছে যে, যেগুলোকে প্রাকৃতিক বলে মনে হয় না। ধারণা করা হয় কেউ সেগুলো সেখানে বানিয়েছে। যেমন ডিশ এন্টেনার মতো নির্মাণ, বড় বড় হুইল্স বা চাকার মত বস্তু। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট এর কুলিং টাওয়ারের মতো নির্মাণ। এবং খুব বড় বড় ও লম্বা পাইপ এর মতো নির্মাণ। এইসব তথ্যগুলো আমাদের এই দিকে ভাবতে ইশারা করে যে, চাঁদ কোন বিশাল এলিয়েন স্যাটেলাইট বা বড় কোন স্পেসশিপ। যেটিকে অতীতে কোনো বিশাল উন্নত ও অ্যাডভান্স সিভিলাইজেশন বানিয়েছিল।
৬. চাঁদের সৃষ্টি:
চাঁদ কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে, আমরা সাধারনত এই বিষয়ে দুইটি সিদ্ধান্ত মানি বা শুনে থাকি। একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যখন আমাদের সৌরমন্ডল সৃষ্টি হয়েছিল ঠিক তখন চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল। এবং সেটি পড়ে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা আকর্ষিত হয়ে পৃথিবীর উপগ্রহ হয়ে যায়। আর দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যা জানি তা হল, চাঁদ পৃথিবীর একটি অংশ ছিল। যেটি পরে কোন ভৌগলিক কারণে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর উপগ্রহ হয়ে যায় ।
কিন্তু আপনারা এটি শুনে অবাক হবেন যে বিজ্ঞানীরা যখন রিসার্চ করে, তখন তারা জানতে পারে চাঁদ পৃথিবীর থেকে ৮০ বছর কোটি পুরনো। এবং চাঁদ কখনো পৃথিবীর অংশ ছিল না। কারণ চাঁদে ইউরেনিয়াম টু থার্টি সিক্স এবং নেপচুনিয়াম টু থার্টি সেভেন পাওয়া যায়। যেগুলো প্রাকৃতিক রুপে পৃথিবীতে পাওয়া যায় না।
৭. চাঁদের বৈশিষ্ট্য:
চাঁদের বৈশিষ্ট্য ও অন্যান্য গ্রহের উপগ্রহের থেকে আলাদা। যেমন চাঁদের আকার পৃথিবীর আকারের এক এর চার অংশের একটু বেশি। যেটি অন্যান্য গ্রহের উপগ্রহের তুলনায় অসামান্য রূপে বড়। কিন্তু আকারে এতটা বিশাল হওয়া সত্বেও এর ভর বা মার্চ পৃথিবীর ভরের ওয়ান পয়েন্ট টু পার্সেন্ট (১.২%)।
৮. চাঁদের গতি ও অবস্থান:
অন্যান্য গ্রহের উপগ্রহের মত চাঁদ ইলিপ্টীক্যাল কক্ষপথে ঘোরে না। বরং এটি প্রায় পূর্ণ গোল কক্ষপথে পৃথিবীকে পরিক্রমণ করে। এবং চাঁদের অবস্থান এমন যে আমরা পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ও পূর্ণ সূর্য গ্রহণ এর মত দৃশ্য দেখতে পাই। যেটি আরো একটি অবাক করার মত বিষয়।
যদি চাঁদ কৃত্রিম হয়ে থাকে, তাহলে এটি কোথা থেকে এলো বা কে তৈরি করল?
কিছু বিজ্ঞানীদের মতে চাঁদকে কোন বিশাল ও উন্নত এবং অ্যাডভান্স এলিয়েন সভ্যতা পৃথিবীর পরিক্রমণ ও পৃথিবীর উপর নজর রাখার জন্য তাদের নিজস্ব শক্তি দ্বারা পৃথিবীর কক্ষপথের এনেছিল। চাঁদে পাওয়া রেডিও এক্টিভ নিউক্লিয়ার ওয়েস্ট এদিকে ইঙ্গিত করে যে, চাঁদকে নিউক্লিয়ার এনার্জির সাহা্য্যে পৃথিবীর কাছাকাছি আনা হয়েছিল।
যদি চাঁদকে কোন বিশাল ও উন্নত এলিয়েন সভ্যতা বানিয়েছিল এবং পৃথিবী চক্র লাগানোর জন্যই তারা এখানে এনেছিল, তাহলে তাদের এগুলো করার উদ্দেশ্য কি ছিল। এই বিষয়ে আপনাদের মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। আর এই পোস্টটি ভালো লাগলে পোষ্টটিতে লাইক ও আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং আমাদের সাইটে নতুন হলে অজানা রহস্য গুলো জানতে নিয়মিত আমাদের সাইটে ভিজিট করুন।
- Advertisements -