পৃথিবীতে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু
পৃথিবীতে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু
বিশাল এই পৃথিবী রয়েছেন নানা গ্রহ উপগ্রহ উল্কাপিণ্ড। বিশাল এই মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে প্রায় ইতিহাসে বিভিন্ন উল্কাপিণ্ড। মাঝে মাঝে আছড়ে পড়ে গ্রহাণু। বিজ্ঞানীরা অনেক সময় অনেক গ্রহাণু আসছে পড়ার ভবিষ্যৎ বাণী দিয়েছেন তা মাঝে মাঝে সঠিক হয়েছে আবার মাঝে মাঝে এসে গ্রহাণুটি তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরে আবার চলে গেছে।
তার নির্দিষ্ট অবস্থানে নাসা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করে তারা সবসময় মহাকাশ নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত থাকে তাদের গবেষণার মধ্যে রয়েছে মহাকাশে কি কি আছে কোন কোন গ্রহাণু কখন কোন কক্ষপথের ঘোরে কোন গ্রহ তে মানুষ বসবাস করতে পারবে কোন কোন গ্রহাণু মানুষের ক্ষতি করতে পারে কোন গ্রহে মানুষের জন্য উপকারী জিনিস রয়েছে নাসার প্রধান কাজই হলো এগুলো সম্প্রতি না সম্প্রতি নাসার গবেষণা বেরিয়ে এসেছে যে পৃথিবীতে আসতে পারে বা আঘাত হানতে পারে একটি গ্রহাণু।
নেয়া যাক কবে নাগাদ কিভাবে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে সেই গ্রহাণুটি। পৃথিবীর খুব কাছ ঘেঁষে অসীম শূন্যের উদ্দেশ্যে ছুটে চলে যাব’ে এক বিশাল আকারের গ্রহাণু। যেমন-তেমন গ্রহাণু নয়, এই গ্রহাণু আকৃতিতে প্রায় দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার সমান! “১৫৩২০১২০০০ ডব্লিউ ও ১০৭” নামক এই গ্রহাণু ঘন্টায় প্রায় ৯০,১২৪ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছে নাসা।
- Advertisements -
এত বড় গ্রহাণু পৃথিবীর কাছে এলে পৃথিবীর কী কোনো রকম ক্ষ’তির সম্ভাবনা আছে? নাসার বিজ্ঞানীরা জানালেন, এই বিশাল আকৃতির গ্রহাণুর জন্য পৃথিবীর তেমন কোনো ক্ষ’তির সম্ভাবনা নেই। পৃথিবীর খুব কাছে এলেও এই গ্রহাণু এবং পৃথিবীর মধ্যে প্রায় ৪৩০২৭৭৫ কিলোমিটারের দূরত্ব থাকবে।
এই গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথ দিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছেন নাসা। কিন্তু পৃথিবী থেকে খালি চোখে গ্রহাণুটিকে দেখা যাব না। নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মা’র্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো প্রদেশ থেকে এই বিশাল আকৃতির গ্রহাণু সন্ধান পেয়েছেন। এই গ্রহাণুর আকার ১২০০০-২৫৭০০ ফুটের মধ্যে রয়েছে। এর ব্যাস প্রায় ২৬৯০ ফুটের কাছাকাছি।
তবে খালি চোখে দেখা না গেলেওকারণ নেই বলেই জানিয়েছেন মা’র্কিন গবেষকেরা। কারণ ছোট টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই গ্রহাণুর গতিবিধির উপর চোখ রাখা যাবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন মহাকাশে ১০৩১৪৮৮টি গ্রহাণু আছে।
সৃষ্টির আদি পর্যায়ে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর পূর্বে সৌরজগৎ সৃষ্টি হওয়ার সময় বাতাসহীন, প্রাণহীন এই পাথরে গ্রহাণুগু’লির সৃষ্টি হয়। সাধারণত এই গ্রহাণু গু’লি পৃথিবীর কক্ষপথে চলে এলে পৃথিবীর উপর বেশ প্রভাব পড়ে। কিন্তু এবারে তেমনটা ঘটার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে নাসা।
- Advertisements -