শরীরের যে স্পর্শ কাতর জায়গাগুলোতে হাত দেওয়া উচিত নয়

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমরা তদন্ত টিম প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি আপনাদের নতুন নতুন কিছু অজানা তথ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য। তারই প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত টিম আজকে আলোচনা করব আরও কিছু  অজানা বিষয় নিয়ে। যা আপনাকে জ্ঞ্যানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে।

ছোট্ট একটি মানব ভ্রূণ থেকে তৈরি আমাদের এই মানব শরীর। আমাদের এই মানব শরীরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন প্রকার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে। অথচ আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন একটামাত্র ভ্রুণ থেকে আমাদের এই মানব শরীর রয়েছে।

এই শরীরের চনে রয়েছে অনেক বড় ধরনের ইতিহাস। অর্থাৎ একটা মানব ভ্রুণ সৃষ্টি একটা মানব ভ্রুণ সৃষ্টি হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেটি বড় হতে শুরু করে যখন সেটি বড় হতে শুরু করে। তখন তার হাত-পা ও বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যায়।

এবং শরীরের ভিতরে থাকে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছাড়া মানব শরীর একদম বিচ্ছিন্ন। তাই আমরা দেখতে পাই যে একটি মানব শরীরে অনেক প্রকার অঙ্গ-প্রতঙ্গ রয়েছে।

এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। স্পর্শ কাতর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বলতে বুঝায় যেসব অঙ্গ-প্রতঙ্গ অনেক সেনসিটিভ। অর্থাৎ যে সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারা আমাদের খুব সহজেই বিভিন্ন প্রকার রোগব্যাধিতে আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আমরা যদি বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধরে থাকি। তাহলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ হতে পারে।

আমাদের আলোচনা যে স্পর্শ কাতর জায়গা গুলো হাত দেওয়া উচিত নয়। কারণ স্পর্শকাতর’ জায়গাগুলোতে হাত দিলে আমাদের বিভিন্ন রোগব্যাধি হতে পারে। কারন আমরা এই হাত দিয়ে বিভিন্ন প্রকার জিনিস ধরে থাকে।

এবং এই হাতের মধ্যে সর্বোচ্চ মেয়লা থেকে যায় যার ফলে আমরা এই হাত দিয়ে। যদি সেই স্পর্শ কাতর জায়গাগুলো ধরে থাকে তাহলে সেখানে ময়লা লেগে যাবে আর সেখানে ময়লা বা জীবাণু লেগে যাওয়ার। ফলে আমরা বিভিন্ন প্রকার রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে আমাদের হাত দিয়ে স্পর্শ কাতর জায়গা ধরা উচিত নয়।

যে যে স্পর্শকাতরও জায়গাগুলোতে হাত দেয়া উচিৎ নয়

১. হাত

হাত একটি অন্যতম স্পর্শ কাতর জায়গা আমাদের এমন একটি স্পর্শকাতর জায়গায়। জায়গার মধ্যে যদি আমরা ময়লা হাত দিয়ে স্পর্শ করে। তাহলে এর মাধ্যমে আমাদের ভিতর খুব সহজেই প্রবেশ করবে।

এবং এই মেলা আমাদের শরীরের ভিতরে গিয়ে বিভিন্ন প্রকার রোগ ব্যাধি সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে। তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা অপরিষ্কার হাতে না কখনোই স্পর্শ না করে।

২. চোখ

চোখ আমাদের অন্যতম একটি স্পর্শকাতর জায়গা। চোখে এমন একটি আমাদের অঙ্গ। যেখান থেকে আমরা গোটা পৃথিবী দেখতে চাই চোখ ছাড়া এই গোটা পৃথিবী অন্ধকার। তাই আমাদের খুব সচেতনভাবে চোখের ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ আমাদের যদি ময়লা থাকে। তাহলে আমরা সেই মহিলা হাত দিয়ে কখনও চোখে স্পর্শ করব না।

কারণ ময়লা জমতে জমতে চোখের কোনায় ময়লা জমতে জমতে দেখা যাবে। আমরা চোখে কম দেখতে চাই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের চোখে যখন তখন হাত দেয়া উচিত নয়।

৩. কান

কান স্পর্শ কাতর জায়গাগুলোর মধ্যে। কান অন্যতম আমাদের কান।এমন একটি স্পর্শকাতর জায়গা জাতীয় যদি আমরা বড় কোনো ধরনের আঘাত পায়। তাহলে আমাদের কানে শোনা নাও হতে পারে। আর একবার যদি আমরা কানে কম শুনি তাহলে আর কখনো কানে শুনতে পারবো না।

আরো শুনতে পারলে আমরা ভালো ভাবে জীবন-যাপন করতে পারব। না আমাদের জীবনে স্থায়ী হয়ে যাবে তাই আমাদের উচিত যখন-তখন কানে হাত দেয়া।

আমাদের আজকের আলোচনার যেসব স্পর্শকাতর’ জায়গা গুলোর কথা বলা হয়েছে সেসবের স্পর্শ কাতর জায়গাগুলোতে হাত দেয়া উচিৎ নয়। এমনটা নয় কিন্তু আমরা যখন তখন সে সব জায়গায় হাত দিতে পারব না। কারণ এগুলো এমন স্পর্শ কাতর জায়গা যে হাত গুলো যদি আমরা যখন তখন লাগাই।

তখন আমাদের হাতের ময়লা গুলো সেখানে যেতে লাগবে। এবং সেখানে ময়লা যাওয়ার। ফলে আমাদের বিভিন্ন প্রকার রোগব্যাধি হতে পারে তাই আমাদের উচিত যখন-তখন স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত না দেয়।

আশা করি আপনারা আপনাদের অনেক অজানা তথ্যের রহস্যময় উত্তর পেয়ে গেছেন। আমরা আমাদের পরবর্তী আলোচনায় আপনাদের আরো কিছু রহস্যময় প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। সুস্থ  থাকুন, পাশে থাকবেন। চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইট তদন্তে।