স্যার আইজাক নিউটনের ধর্মীয় চিন্তা ধারা

জেনে নিন স্যার আইজাক নিউটনের ধর্মীয় চিন্তা ধারা।

আমার প্রিয় বিজ্ঞানী হলেন স্যার আইজাক নিউটন। তিনি আবিষ্কার করেছেন মাধ্যাকর্ষণ বলেরর সূত্র এবং ক্যাকুলাস।
বলাই চলে একজন বিজ্ঞানের ছাত্র, স্যার যে কোন বিজ্ঞানীর সূত্র মুখস্ত করার আগে স্যার আইজাক নিউটনের বলবিদ্যার সূত্র গুলোই মুখস্ত করে। অবশ্য আমার সবার আগে স্যার আইজাক নিউটনের স্যারের সূত্রগুলোই মুখস্ত হয়েছিল। যাই হোক, আজকের পোস্টে আমরা জানবো, স্যার আইজাক নিউটনের ধর্মীয় চিন্তা ধারা সম্পর্কে।

[ ] বলের ৩য় সূত্র তো আমার খুব কাজে লাগে– যখনি কোন বন্ধু আমায় মারে আর আমি কিছু বলতে পারি না, শুধু একটাই কথা বলি__
“তোকে দেখে নিব, মনে রাখিশ “To every action there is opposite and equal reaction.”

[ ] এরপর আমার যদি কোন ছোট ভাই-বোন বা বা জুনিয়র কোন ছেলে-মেয়েকে পরামর্শ দেয়, তখন বলি __
“খুব ভালো করে পড়, তুমি যত চেষ্টা করবা ততই ভালো রেজাল্ট করতে পারবা। আচ্ছা তুমিকি স্যার নিউটনের নাম শুনেছ??? হয়ত তোমরা এখনো পড়নি…. তবে মনে রেখ
তার একটা সূত্র আছে ‘To every action there is opposite and equal reaction. ‘ অর্থ হলো প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে।”

[ ] অনেক সময় জীববিঞ্জানেও এই সূত্রর ব্যাবহার করেছি আমি।
যেমন আমার এক বন্ধু প্রশ্ন করেছিল ‘ আমাদের প্রসাব কেন এবং কিভাবে হয় বলত???? ‘
কিন্তু তখন আমার ওই কিডনীর ১০-১২ লক্ষ নেফ্রনের ইতিহাস বলার কোন ইচ্ছাই ছিলনা, তাই বলছিলাম যে
” ভাই!! শরীরে পানি ঢুকলে তো বের হবেই।।। তুমিকি জানো না???? ‘To every action there is opposite and equal reaction.”

যেদিন প্রথম এই সূত্র টি পরছিলাম ঠিক সেই দিনিই এর ইংরেজি মিনিংটা সম্পূর্ণ আয়ত্ত করে নিয়েছিলাম। কারন ব্যাবহার করতে হবে তো তাইনা !!!

• আমাদের প্রায় সবারই এমন হয় যে স্যার নিউটনের কথা উঠলেই বলবিদ্যা, ক্যালকুলাস ইত্যাদির কথা মেমোরিতে ভেসে ওঠে। আর যারা একটু বেশি খুজেছি নিউটন স্যারকে নিয়ে বা বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছি তারা তার লেখা বিখ্যাত বই “ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকারচনা “যার ইংরেজি নাম দেয়া হয় “Mathematical Principles of Natural Philosophy। “

• অথবা তার সেই ১৬৯৬ সালে একরাতে সমাধান করা গাণিতিক সমস্যার সমাধানের কথা যেই সমস্যাটি বার্নোলি একটি প্রতিযোগিতায় প্রস্তাব করেছিলেন এবং এর সমাধানের সময় বরাদ্দ ছিল ৬ মাস। আরো মনে পরতে পারে তার সেই ১৭১৬ সালে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় একটি সমস্যার সমাধান করে ফেলার কথা, যা কিনা বিজ্ঞানী লিবনিজ এই বলে বলে উল্লেখ করেছিলেন যে ‘এই সমস্যাটির সমাধান করা ইংরেজ বিশেষজ্ঞদের জন্য রোমহর্ষক এবং দুঃসাধ্য। ‘

• কিংবা নিউটন স্যারের অসাধারণ কৃতিত্বপূর্ণ কর্মজীবনের কথা।

কিন্তু স্যার নিউটন যে ধর্ম নিয়েও সাধনা করেছিলেন। আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব সম্মন্ধে সে কালের মানুষকে অবগত করার জন্য যে তিনি অসামান্য চেষ্টা করেছিলেন। হযরত ঈসা (আ) কে নিয়ে যে তৎকালীন লোকেদের মাঝে যে ভূল ধারনা ছিল তা ভাঙ্গানোর জন্য যে তিনি আদম্য প্রচেষ্টা করেছিলেন। মানুষকে ইসলামের সঠিক ধারনা দেওয়ার জন্য তিনি বিজ্ঞানের চেয়ে ধর্ম নিয়েই বেশি লেখেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্কে আজ আমাদের দেশে খুব কমই লেখা হয়েছে। আমাদের দেশে নিউটন স্যারের সম্পর্কে আমাদের পাঠ্যবয়েও তেমন কিছুই লেখা নেই।

তবে একটা কথা জোর দিয়ে বলা যায় নিউটন স্যার বিজ্ঞানের পিছনে যা সাধনা করেছিলেন তার তিনগুন সাধনা করেছিলেন ধর্মের পিছনে। আমি জানি এখন প্রমাণের খুব দরকার।

প্রমান হিসেবে বলাই চলে নিউটন স্যারের প্রদান করা সেই বারোটি সূত্র, যা কিনা তিনি প্রদান করেছিলেন ‘আল্লাহ অস্তিত্ব এবং হযরত ঈসা (আ) যে একজন নবী ‘ তা প্রমান করার জন্য।

সুত্র গুলো নিয়ে আমাদের কাছে তেমন ভাবে প্রকাশ করাই হয়নি।

[ ] উক্ত বারোটি সূত্র নিম্ন বর্ণনা করা হলো :

• আল্লাহ এক, চিরঞ্জীব প্রতিপালক, সর্বত্র বিরাজমান, সর্বজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান, এবং আসমান ও জমিনের স্রষ্টা। আল্লাহ ও মানবের মাঝে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী মানুষ হলেন- নবী ঈসা (আ)।

• আল্লাহ তায়ালা হলেন অদৃশ্য, কোনো দৃষ্টি তাকে দেখে না, অথবা দেখতে পারে না। তিনি ব্যতীত অন্য যা কিছু আছে তা দৃশ্যমান হয়।

• আল্লাহ নিজেই নিজের মধ্যে জীবন্ত এবং তাঁর নিজ হতে বান্দাদের জীবন দান করেন।

• আল্লাহ সর্বজ্ঞানী। তাঁর অন্তরে মূলত সকল জ্ঞান রয়েছে। তিনি ঈসা নবীর কাছে ভবিষ্যৎ বিষয়ের জ্ঞান প্রেরণ করেন। নবী-রাসূলগণ ব্যতীত আসমানে বা জমিনে অথবা জমিনের নিচে এমন কেউ নেই যে সরাসরি আল্লাহ থেকে ভবিষ্যৎ বিষয়ের জ্ঞান লাভ করতে পারে। আর, এ কারণেই ঈসা (আ)- এর সাক্ষ্য নবুয়তের স্পৃহা এবং তিনি হলেন আল্লাহর বাণী বা রূহুল্লাহ বা আল্লাহর নবী।

• আল্লাহ অবিচল। কোনো স্থান-ই তাঁর অনুপস্থিতিতে শূন্য বা উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে উঠতে সক্ষম নয়। তাঁর উপস্থিতি-ই হলো প্রকৃতির অনন্ত অপরিহার্যতা। তিনি ব্যতীত অন্য সকল সত্ত্বা এক স্থান থেকে অন্যত্র চলাচল করে।

• সকল ইবাদাত, যেমন সালাত, জিকির, বা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা, সব কিছু ঈসা (আ) আগমনের পূর্বেও কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ছিল, এখনো তেমনি কেবল আল্লাহর জন্যেই। ঈসা (আ) তাঁর প্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ইবাদাত হ্রাস করার জন্যে আগমন করেননি।

• আল্লাহর উদ্দেশ্যে নবীর নাম দিয়ে দোয়া করলে তা খুবই ফলপ্রসূ হয়।

• আমাদের সৃষ্টি, আমাদের প্রদত্ত খাদ্য, পরিধেয় বস্ত্র এবং এই জীবনের অন্যান্য কল্যাণ প্রদানের জন্য আমরা কেবল আল্লাহ তায়ালার প্রতিই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। কারণ, নবীর নামের সাহায্যে আমরা যা কিছুই সরাসরি আল্লাহর কাছে চাই আল্লাহ তা আমাদের দান করেন।

• আমাদের জন্য সুপারিশ করার উদ্দেশ্যে ঈসা (আ)-এর নিকট আমাদের প্রার্থনা করার প্রয়োজন নেই। আমরা যদি আল্লাহর কাছে সঠিকভাবে প্রার্থনা করি, তাহলে তিনিই আমাদের জন্যে সুপারিশ করবেন।

• পরিত্রাণের জন্য নবীর নাম নিয়ে আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত অন্য কারো নিকট প্রার্থনা করার প্রয়োজন নেই।

• কোনো ফেরেশতা বা রাজা-বাদশাহকে আল্লাহর গুণবাচক উপাধিতে ভূষিত করলে তা প্রথম আদেশের বিরুদ্ধে যায় না। কিন্তু, কোনো ফেরেশতা বা রাজা-বাদশাহকে আল্লাহর মত ইবাদাত করলে, তা প্রথম আদেশের বিরুদ্ধে চলে যায়। প্রথম আদেশের অর্থ হলো- “তোমরা আমি ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করবে না”।

• আমাদের নিকট আল্লাহ হলেন এক ও একক। তিনি আমাদের ও সকল বস্তুর প্রভু। তিনি নবী ঈসা (আ)-এরও প্রভু। এ কারণে, সর্বশক্তিমান প্রভু হিসাবে আমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই ইবাদাত করি।

উৎস: Isaac Newton, Keynes Ms. 8, King’s College, Cambridge, UK

নিউটন স্যারের সম্মন্ধে আমার অনেক অজানা তথ্যগুলোর মাঝে এই টা ছিল সবচেয়ে আশ্চর্য জনক।

Comments are closed.