মিথ্যেবাদী চেনার কয়েকটি উপায়

মিথ্যেবাদী চেনার কয়েকটি উপায়

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমরা তদন্ত টিম প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি আপনাদের নতুন নতুন কিছু অজানা তথ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য। তারই প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত টিম আজকে আলোচনা করব আরও কিছু  অজানা বিষয় নিয়ে। যা আপনাকে জ্ঞ্যানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে।

আমাদের আশেপাশে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন। যারা এমন ভাবে চাটুকারিতা ভাবে কথা বলে। যাতে মনে হয় যে তারা সত্যি কথা বলছে। তাদের চাটুকারি কথা এভাবে বলে  সেইসব চাটুকারিতা কথাকে আমরা সত্য মনে করে। নানা রকম বিপদে পড়ে যাই। তারা এতটাই মুখোশধারী যে আমরা কোনভাবেই বুঝতে পারি না।

যে তারা মিথ্যা কথা বলছে। যদি আমরা তৎক্ষণাৎ ধরতে পারতাম যে ;তারা মিথ্যে কথা বলছেন। তাহলে আমরা অনেক বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতাম। আজকে আমরা জানবো মিথ্যেবাদী মুহূর্তে ধরে ফেলার কয়েকটি কৌশল। চলুন জেনে নেয়া যাক মিথ্যেবাদী ধরে খেলার কৌশল গুলো।

১. কোন জিনিস ধরে কথা বলাঃ

যখন কেউ মিথ্যা কথা বলে। তখন সে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে না। তার হৃৎকম্পন বাড়তে থাকে। তাই মিথ্যাবাদী নিজেকে স্বাভাবিকের তুলনায় দুর্বল মনে করতে শুরু করে। এবং তাকে যেন স্বাভাবিক দেখায় সেজন্য সে আশেপাশে যা রয়েছে। অর্থাৎ দেয়ালে পিঠ দিয়ে, সিড়ি ধরে কথা বলা। বিভিন্ন কিছু ধরে রাখার চেষ্টা করে। যাতে তাকে স্বাভাবিক দেখায়।

২. দেহের অঙ্গ ঢাকার চেষ্টাঃ

মানুষ যখন কথা বলে যদি সে মিথ্যা কথা বলা শুরু করে। তাহলে তখন সে মুখ কুঁচকে যায় এবং তা ঢাকার চেষ্টা করে কারণ মানুষ মিথ্যা কথা বলার সময়ে তার ভেতরের নার্ভগুলো টের পেয়ে যায় এবং সে অটোক্রেসি দ্বারা সংকুচিত হতে থাকে বা প্রসারিত হতে থাকে যার ফলে সে নিজের অজান্তেই তার বুক পিঠ ঢাকার চেষ্টা করে।

৩. কলার টেনে কথা বলাঃ

মানুষ যখন বিপদে পড়ে অর্থাৎ মানুষ যখন নার্ভাস থাকে। তখন সে কলার টেনে উঠিয়ে দেয়। কারণ সে চায় যাতে তার ঘাড়ে একটু বাতাস লাগে। এবং সে স্বস্তি অনুভব করে। মানুষ যখন মিথ্যা কথা বলে। তখন সে অসুস্থ অনুভব করতে থাকে। এবং সে তখন চাই যে তার ঘাড়ে একটু যেন বাতাস লাগে। এবং শক্তি অনুভূত হয়। আর এ জন্যই মানুষ যখন মিথ্যা কথা বলে। তখন সে টেনে কথা বলে। বা কলার উঁচিয়ে কথা বলেন।

৪. আঙ্গুল তুলে কথা বলাঃ

কথায় আছে চোরের মায়ের বড় গলা। অর্থাৎ যে ব্যক্তি দোষী। তার কথার প্যাঁচ বেশি। যখন কেউ মিথ্যা কথা বলে। তখন সে এতটাই আক্রমণাত্মক হয়ে মিথ্যা বলে যে। যেন তাকে কেউ অবিশ্বাস না করে। যে সে মিথ্যা বলছে। তাই সে মানুষের দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলে।

৫.  শরীরের নাড়াচাড়া কমিয়ে দেয়াঃ

যখন কেউ মিথ্যা বলে। তার স্নায়ুতন্ত্র গুলো এতটাই ক্রমশ কাজ করতে থাকে। যে সে অনেক অসুস্থ বোধ করে। এবং সে মনে মনে ভাবতে থাকে। যে তার অপর জন মানুষ মনে হয় তাকে সন্দেহ করছে।

যে সে মিথ্যা কথা বলছে। যার ফলে সে স্বাভাবিকভাবে শরীর নাড়াচাড়া করল। সে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এবং নিজেকে নাড়াচাড়া করার বাধা প্রদান করে। অর্থাৎ সে স্বাভাবিকের তুলনায় নিজের শরীরের নাড়াচাড়া অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

আমরা কারো সাথে কথা বলার সময় যদি এমন কোনো কারোর মাঝে লক্ষণ দেখতে পাই তাহলে অবশ্যই বুঝে নিবো যে সে মিথ্যা কথা বলছে।

আশা করি আপনারা আপনাদের অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পেয়ে গেছেন। আমরা আমাদের পরবর্তী আলোচনায় আপনাদের আরো কিছু রহস্যময় প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।সুস্থ  থাকুন।পাশে থাকবেন।চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইট তদন্তে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More