কুকুর পোষার মাধ্যমেও আপনি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন!
কুকুর পোষার মাধ্যমেও আপনি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন!! চলুন জেনে নেই সেই অদ্ভুত পদ্ধতিটি
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। প্রবাদ বাক্যটি আমরা সবাই জানি। অতএব এই প্রবাদের মূল কথা হলো যে সুখে থাকতে চাইলে অবশ্যই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। আর স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন কিছু করে থাকি। কিন্তু আজকে আমরা স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিছু অদ্ভুত উপায় জেনে নিব। চলুন জেনে নেই স্বাস্থ্য ভালো রাখর উপায়।
১.কুকুর পোষাঃ
শারীরিক সক্ষমতা অর্জনের জন্য একটি অবিশ্বাস্য মাধ্যম হচ্ছে কুকুর পোষা। শুনে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন কুকুর পোষার মাধ্যমেও শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করা যায়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকতে জিমে যাওয়া বা ভোরে দৌড়ানোর চেয়েও আপনাকে আরো বেশি কাজে কায়িক পরিশ্রমে ব্যস্ত করে রাখবে পোষা কুকুর।
এবারিস্টউইথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. রিস থেচার বলছিলেন, জিম হয়তো কারো কারো জন্য একটা ভালো সমাধান হতে পারে। কিন্তু তা সবার জন্য নয়। তই এক্ষেত্রে মোক্ষম উপায় হতে পারে একটি কুকুর পোষা।কারণ কুকুরকে যদি দিনে দুইবার অন্তত ৩০ মিনিট কর হাঁটাতে হয় তখন আপনিও নিজে থেকেই হাঁটবেন। আর এভাবেই রোজকার হাঁটার ভেতর দিয়ে শরীর ও মনের সুরক্ষা হবে নিজের সম্পর্কে ব্যক্তির ধারণা যত নির্ভুল ও গভীর হবে, ততই সে তার নিজের শক্তি ও দুর্বলতার দিকগুলো জানবে।
এই জানার মাধ্যমেই নিজের দুর্বলতাগুলোকে কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়ে উঠে বলে মনে করেন ড. স্যামি। ড. স্যামি বলছিলেন, আত্ম-সচেতনতা এমন এক জিনিষ যা মানুষকে তার নিজের আবেগ, অনুভূতি ও ইচ্ছে-অনিচ্ছা অনেক নিবিড়ভাবে চিনতে সহায়তা করে। তার মতে, নিজের অনুভূতিকে চেনার মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকে সবচে’ বেশি মনোযোগ দিতে পারে।
এছাড়াও স্বাস্থ্য ভালো রাখার আরো কয়েকটি উপায়ঃ
২.ভিন্ন ভিন্ন শাকসবজিঃ
শাকসবজি কার না ভালো লাগে।।কিন্তু প্রতিদিন আমাদের একই শাকসবজি খেতে ভালো লাগে না। তাই আমাদের আলাদা আলাদা শাকসবজি খেতে ইচ্ছে করে। শুধু ভালো লাগার জন্যই নয় আলাদা আলাদা শাকসবজি খেলে আমরা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও পাব।কারণ একটি সবজিতে যে পুষ্টি রয়েছে যদি আমরা অন্য সবজি খাই তাহলে সেখানে আরেকটি পুষ্টি পাওয়া যাবে।
প্রতি সপ্তাহে সব পদ মিলেয়ে যদি ভিন্ন-ভিন্ন পদেরসবজি ও ফল-ফলাদি খাওয়া যায় তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আমাদের পাকস্থলীতে মাইক্রোবায়োম বলে একটি ব্যাকটেরিয়া আছে। এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের সুস্বাস্থ্যের উপরে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। তাই এক্ষেত্রে যত বেশি সম্ভব লতা-পাতা ও উদ্ভিজ্জ সবজি খেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
৩.হাসিখুশি থাকাঃ
সবাই হাসিখুশি থাকতে চায়। কারণ হাসিখুশি থাকলে মন ভালো থাকে। আর মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকে। আর শরীর ভালো থাকার মানেই হচ্ছে সুস্থ থাকা। ড. জেমস গিল বলছেন, মানুষের উচিত সুখী হওয়ার চেষ্টা করা। এখন আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসতে পারে যে, সুখী হওয়া কি আর চাট্টিখানি কথা? নাকি চাইলেই সুখী হওয়া যায়? এক্ষেত্রে ড. গিলের উত্তর হচ্ছে, সহজেই সুখী হওয়া যায়। সুখী থাকার সহজ উপায় হিসেবে বেশি করে হাসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
৪.পরিমাণমতো ঘুমঃ
ঘুম মানুষের শরীরের শক্তি পুনর্জাগরণের একটি মাধ্যম। একজন পরিণত বয়সের মানুষের রাতে গড়ে দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার। কিন্তু একটানা যদি ঘুমের ঘাটতি চলতে থাকে তবে শরীরের উপরে এর খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এক্সেটার ইউনিভার্সিটির স্পোর্ট এন্ড হেলথ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ড. গেভিন বাকিংহাম বলেছেন, ঘুম কম হলে মানুষের কগনিটিভ ফাংশান বা নতুন জিনিস শেখার ক্ষেত্রে ক্ষতি হয়।
ঘাটতির নেতিবাচক প্রভাবে এমনকি অনেক সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও ব্যক্তি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে পরে বলে জানালেন ড. বাকিংহাম। তাই, দেহ ও মনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
-Advertisements-