মহাজাগতিক বিস্ফোরণই নয় আগ্নেয়গিরি হতে পারে পৃথিবীর ধ্বংসের অন্যতম কারণ!!!
আগ্নেয়গিরি হতে পারে পৃথিবীর ধ্বংসের অন্যতম কারণ
সৃষ্টিশীল প্রতিটি জিনিস একদিন না একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি করেছেন আবার তিনি ধ্বংস করবেন। সুন্দর আমাদের এই পৃথিবী একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে কখন কিভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে এই পৃথিবী।
পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার জন্য রয়েছে সম্ভাব্য কিছু মতবাদ। বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে এই পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার বিভিন্ন মতবাদ। রয়েছে ধর্মীয় মতবাদ, রয়েছে বৈজ্ঞানিক মতবাদ। তন্মধ্যে আমরা আজকে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার বৈজ্ঞানিক কয়টি মতবাদ নিয়ে আলোচনা করব।
১.মহাজাগতিক বিস্ফোরণঃ
পৃথিবীর ধ্বংসলীলা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ধ্বংসের মুখে পড়তে চলেছে সৌর জগৎ-সহ গোটা বিশ্ব। বিজ্ঞানীদের মতে মহাকাশে পরপর এমন কিছু বিস্ফোরণ হচ্ছে যার প্রভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সৌর পরিবার। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবী থেকে মাত্র ৩৯ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে বিশ্বের বৃহত্তম বিস্ফোরণ ঘটেছে।আর তা সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বিগ ব্যাংক।
এরপর এটিই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ।জ্যোতির্বিদরা বলেছেন যে বিস্ফোরণটি ছায়াপথ ক্লাস্টার এমএস০৭৩৫+ ৭৪-এ বিস্ফোরণের চেয়ে ৫ গুণ বেশি শক্তি নির্গত হয়েছিল। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব অনেকটাই বলে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে ক্রমাগত মহাকাশে এই ধরণের বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে তা এই পৃথিবী-সহ সৌরজগতের অস্তিত্বটুকুও টিকিয়ে। রাখবেনা।
২.সৌর ঝড়ঃ
সূর্যের উপস্থিতি পৃথিবীর টিকে থাকার জন্যে প্রয়োজন, এটা খুব সাধারণ বিষয়। সৌর শক্তি যা খুব দ্রুত পৃথিবীতে এসে উপস্থিত হয় যা পৃথিবীর প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই সূর্যের রশ্মির থেকেই নির্গত হওয়া সোলার ম্যাক্স, যা সূর্য থেকে নির্গত হওয়া সবচাইতে শক্তিশালী এক রশ্মি। এই আলোকরশ্মি খুব দ্রুত আঘাত হানতে পারে পৃথিবীতে। আর এর তাপ প্রবাহে জ্বলে পুড়ে ধ্বংস হবে পৃথিবীর।
৩. আগ্নেয়গিরিঃ
সারা পৃথিবী জুড়ে রয়েছে কয়েক শত আগ্নেয়গিরি। যার মধ্যে রয়েছে সুপ্ত ও জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। যার সংখ্যা প্রায় ৫০০-এর মত। বিজ্ঞানীদের এক আংশের দাবী সুপার আগ্নেয়গিরি জেগে উঠলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। এই ৫০০ টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে এমন ৪টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যা চোখের পলকে পৃথিবীকে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
আর এই চারটি আগ্নেয়গিরির নাম তাই সুপার আগ্নেয়গিরি। এই চারটি আগ্নেয়গিরি হল জাপানের অ্যায়রা কালডেরা, নিউজিল্যান্ডের টাউপো, আমেরিকার ইয়োলোস্টাইন ও ইন্দোনেশিয়ার লেক টোবা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি হল আমেরিকার ইয়েলোস্টোন। এটি হল পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সুপার আগ্নেয়গিরি।
এই চারটে সুপার আগ্নেয়গিরির মধ্যে, যে কোনও একটি জেগে উঠলে বা লাভা উদগীরণ তা প্রায় ২০০০ মিলিয়ন সালফিউরিক এসিড বের করার সম্ভাবনা। যার ফলে শুধু পৃথিবী নয় ক্ষতি হবে সূর্যেরও।
৪.জৈব অস্ত্রঃ
বিজ্ঞানীরা মনে করেছেন মানুষের গবেষণার ফলে সৃষ্টে হবে এমন কিছু ভাইরাস বা জীবানুর যা এক ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। এর ফলে জীবজগতে নেমে আসতে পারে চরম বিপর্যয়। বর্তমান সময়ে যেমন করোনা ভাইরাস সারা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনই কিছু ভাইরাসের প্রভাবে ধ্বংসের মুখে পড়তে হবে গোটা জীব সমাজকে। আর যার ফলে ধ্বংস হবে পৃথিবীর।
Comments are closed.