কেয়ামত সন্নিকটে! ইবাদত করো মানুষ-

ইবাদত করো মানুষ কেয়ামত সন্নিকটে

মহান আল্লাহতালা এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আবার তিনি ধ্বংস করবেন। পবিত্র কুরআন ও হাদীস শরীফে তিনি কেয়ামত হওয়ার আগে কি কি লক্ষণ হতে পারে তা উল্লেখ করেছেন যা অনেকটাই বর্তমান সময়ের সাথে মিলে যায় তাহলে কি কেয়ামত সন্নিকটে।

মহানবী (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের আগে অজ্ঞতা বেড়ে যাবে ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে মানুষের হৃদয় কঠিন হয়ে যাবে এবং মারামারি, হত্যাযজ্ঞ বেড়ে যাবে। (সহিহ বুখারি)। কেয়ামতের বড় বড় আলামত এখনো পরিদৃষ্ট না হলেও ছোট ছোট আলামতগুলো এমনভাবে সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে, যা রোধ করার ক্ষমতা কারো নেই।

কেয়ামতের ছোট ছোট আলামতগুলো কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান থেকে মানুষকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেপরোয়া আচরণ ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করছে। মানুষ থেকে নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। হিংসা, লোভ ও অহংকারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিযোগিতা করে অট্টালিকা নির্মাণ করা হচ্ছে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের পরিবর্তে দুষ্টের লালন ও শিষ্টের দমনের কার্যক্রম গর্বের সঙ্গে করা হচ্ছে।

কুফরী কাজ শিরক, বিদআত, নিফাক ইত্যাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে, মিথ্যা, আমানতের খিয়ানত ও ওয়াদা খিলাফ অহরহ হচ্ছে। সন্তান পিতা-মাতার শুধু অবাধ্য নয়, বরং পিতা-মাতাকে খুন করছে। পিতা-মাতা সন্তানকে আদর-স্নেহ দিয়ে মানুষ করার পরিবর্তে নিজেই হত্যা করছে। যা জাহেলি যুগেও করা হতো না।

অন্যায়-অবিচার এতো প্রকট আকার ধারণ করেছে যে মানুষ অন্যায়কে অন্যায় মনে করছে না। ন্যায়নীতির পরিবর্তে অন্যায়-জুলুম করা হচ্ছে। নারীরা পর্দা করার পরিবর্তে পর্দাহীনতাকে অহংকারের বিষয় বানিয়ে নিয়েছে। সুদ-ঘুষ, মদ, জিনা-ব্যভিচার বেড়ে গেছে।

জাহেলি যুগের মতো সুদকে ব্যবসার ন্যায় হালাল মনে করা হচ্ছে। ঘুষকে স্বাভাবিকভাবে দেখা হচ্ছে। মদপানকে তুচ্ছ করে দেখা হচ্ছে। পাঁচ বছরের বালিকা পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যুবতীরা যুবকদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে। সমাজে সৎ ও নেককার লোকেরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। অসৎ ও দুষ্ট লোকদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। বদকর্মে পৃথিবী টইটুম্বুর হয়ে গেছে। 

কেয়ামত এর ছোট ছোট লক্ষণঃমহানবী (সা.) বলেন, ১০টি নিদর্শন যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা দেখতে পাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। তা হলো—

১. ধোঁয়া।

২. দাজ্জাল।

৩. দাব্বাহ (জমিন থেকে একটি জন্তুর বের হওয়া)।

৪. পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়, (কিয়ামতের ১০০ বছর আগে মাত্র এক দিনের জন্য পশ্চিম দিক দিয়ে সূর্য উদিত হব।

৫. হজরত ঈসা (আ.) এর আগমন।

৬. ইয়াজুজ-মাজুজের আগমন।

৭. পূর্ব দিকের তিনটি ভূমিকম্প।

৮. পশ্চিম দিকে ভূমিকম।

৯. আরব উপদ্বীপের ভূমিকম্প। 

১০. ইয়েমেন থেকে উত্থিত আগুন, যা মানুষকে তাড়িয়ে সমাবেশের স্থানে নিয়ে যাবে। (সহিহ বুখারি)।

Comments are closed.