কিভাবে এগিয়ে যাবে করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতি??

কিভাবে এগিয়ে যাবে করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতি

করোনা ভাইরাস স্থবির করে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। মানুষের সাধারণ জীবন যাপন আজ থমকে গিয়েছে। থমকে গিয়েছে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি। কোন কোন দেশের অর্থনীতি অবনতি ঘটেছে ব্যাপকভাবে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ততটা ও অবনতি ঘটে নি যতটা  ভাবা হয়েছিল ।

সরকারের দূরদর্শী চিন্তা ভাবনা   অর্থনীতিকে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু করোনা পরবর্তী অর্থনীতি কিভাবে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে সে বিষয়ে আজকে আলোচনা হবে-

২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থনীতি থেকে করোনার প্রভাব কেটে গিয়ে বাংলাদেশর অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এমন দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০২০-২৫) খসড়ায়। এজন্য এই পরিকল্পনায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধারা হলেও আগামী অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।

পরিকল্পনা কমিশন সাড়ে ৬ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরলেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রক্ষেপন আরও বেশি। এডিবি’র ধারণা, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এটিকে করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রবণতারই ইঙ্গিত বলে মনে করছে সংস্থাটি।

গতকাল এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২০ এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ যা বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তিমত্তা প্রকাশ করেছে। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ যা ছিল এশিয়ার সব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এডিবি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের শক্ত ভিত্তি এবং রফতানি গন্তব্যগুলোতেও প্রবৃদ্ধিতে গতি আসার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ক্রমান্বয়ে পুনরুদ্ধার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সহনশীল মাত্রায় (৫ দশমিক ৫ শতাংশ) থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিও কমে ১ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

করোনা মহামারির কারণে আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবেলা এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা দিতে এডিবি এরই মধ্যে বাংলাদেশকে প্রাথমিকভাবে ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। এছাড়া ২০২১-২৩ পর্যন্ত সময়ে সহযোগিতা করতে আরো ১১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা দেবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুবিন্যস্ত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কারণে গত এক দশকে বাংলাদেশে গড়ে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। প্রবৃদ্ধির ৬ শতাংশের বৃত্ত ভেঙে ইতোমধ্যে ৮ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনার কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যেখানে বিপর্যস্ত, সেখানে বিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের ওপরেই অর্জিত হয়েছে। করোনার মধ্যেও দেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৫৫ ডলার।

 

You might also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More