খেলার আসর এখন তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করার মূল হাতিয়ার! নেপথ্যে কি?? চলুন জেনে নেয়া যাক-

খেলার আসর এখন তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করার মূল হাতিয়ার

পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে বিভিন্ন খেলার আসর। সেইসব খেলা আমাদের বিনোদন দেওয়ার জন্য করা হলেও খেলার হার জিত  নিয়ে অনেকেই মেতে উঠছে জুয়া খেলায়। যার মাধ্যমে এখন পৃথিবীর অন্য যে কোথাও কোন খেলা হলেও আমরা যে কোন স্থান থেকে অনলাইনে জুয়া খেলতে পারি।

অনলাইনে জুয়া খেলায় তরুণ প্রজন্ম ঝুঁকে পড়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে উঠতি তরুণেরা আরও বিপথগামী হতে পারে। তরুন প্রজন্মরাই লোকলজ্জার ভয়ে এখন অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে খেলছে জুয়া। জমজমাট রয়েছে অনলাইনে কয়েকটি জুয়ার আসর। তার মধ্যে কয়েকটি সাইট চিহ্নিত করে তা বাংলাদেশে বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়।

সাইটগুলো হলোঃ

১. বেট ৩৬৫ ডটকম

২. ৮৮ স্পোর্টস ডটকম

৩. রেবটওয়ে ডটকম

৪. বেটফ্রিড ডটকম

৫.ডাফাবেট ডটকম

৬. বেটফেয়ার ডটকম

৭. ইউনিবেট ডটকম

৮. বেট ভিক্টর ডটকম

৯. নেটবেট ডটকম

১০. উইনার ডটক

যেকোনো ধরনের  জুয়া ও ফিক্সিংয়ের বিষয়ে “জিরো টলারেন্স” নীতি রয়েছে। আমাদের দেশের আইন, সামাজিকতাও এসব বিষয় অনুমোদন করে না। সেগুলো মাথায় রেখেই যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জুয়া বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা তা না হলে তরুণ প্রজন্মের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে এখানেই।

সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু সাইটগুলো বন্ধ করতে বলা হয়েছে বিষয়টি এ রকম না, জুয়া খেলার প্রবণতা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত রাখতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জুয়ার সঙ্গে অনেক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাঁরা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।’

আরও জানানো হচ্ছে যে অনলাইনের সাইটের জুয়াড়িরা নগদ লেনদেনের পাশাপাশি পেপ্যাল, মাস্টার কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের মতো ব্যাংকিং চ্যানেলেও অর্থ লেনদেন করে। আর পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে দেশ-বিদেশের একটি প্রভাবশালী চক্রও জড়িত আছে।

গত এক মাসে এসব সাইটের মাধ্যমে ক্রীড়াবিষয়ক বাজির অভিযোগে ২০০-এর বেশি লোককে আটক করা হয়। কিন্তু এ-সংক্রান্ত সুস্পষ্ট আইন না থাকায় আটক হওয়া ব্যক্তিদের সবাই জামিন পেয়েছেন।

জুয়া প্রতিরোধে পুরোনো একটি আইন থাকলেও ইন্টারনেটভিত্তিক জুয়া প্রতিরোধে শক্ত আইন দেশে নেই। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে জুয়া খেলার শাস্তির বিষয়ে বিধান নেই।

বর্তমান আইন অনুযায়ী, যেকোনো স্থান জুয়ার আসর হিসেবে ব্যবহৃত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির তিন মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার নিয়ম আছে। ক্রীড়া জুয়ার ক্ষেত্রে এক মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ১০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।

আর এ সব জুয়ার কারণে তরুণ প্রজন্ম অনেক অপরাধ প্রবণ হয়ে যাচ্ছে।ফলে সমাজে বেড়ে যাচ্ছে চুুুুরি ছিনতাাই।নষ্ট হয়ে যায় শান্তি। সমাজ বিশৃংখলার মূল এই যুবকদের চুরি ছিনতাই ডাকাতি। সমাজের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে জুুুয়া বন্ধ করতে হবে।

 

 

You might also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More