প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা! শুনলে অবাক হবেন আপনি।

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমরা তদন্ত টিম প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি আপনাদের নতুন নতুন কিছু অজানা তথ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য। তারই প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত টিম আজকে আলোচনা করব আরও কিছু  অজানা বিষয় নিয়ে। যা আপনাকে জ্ঞ্যানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে।

আমরা সাধারনত দেখি যে রাস্তাঘাটে পিচের তৈরি হয়। কোন একটি জায়গা কতটা উন্নত তার পিছনে রয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। যে জায়গার যোগাযোগ ব্যবস্থা কতটা উন্নত সে জায়গা বাণিজ্যিকভাবে ততটা উন্নত।

যেকোনো জায়গায় রাস্তা না থাকে সে জায়গায় রাস্তা তৈরি করা হয় বিভিন্ন পিচ ঢালা পথে। কিন্তু এমন একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছে যা প্লাস্টিকের তৈরি। অবাক হয়েছেন তো প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা।

প্লাস্টিক একটি বর্জ্য পদার্থ। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য রয়েছে। যেসব  পদার্থ বলতে আমরা বুঝি যেসব পদার্থ আমাদের আর কাজে লাগেনা। অর্থাৎ আমরা কোন পদার্থ ব্যবহার করার পর সেই পদার্থ কাজ শেষ হয়ে গেলে আমরা সেই পদার্থটি যখন ফেলে দেই সেই পদার্থকে বলা হয় বর্জ্য পদার্থ।

এমন একটি পদার্থ যা আমরা স্বাধীনতা ফেলে দিয়ে থাকি কাজ শেষে আর এই পদার্থটির স্বাধীনতা পরিবেশের দূষণ করে। যদি সেই পদার্থটি পরিবেশের সঙ্গে মিশে যায় যেসব পদার্থ ফেলে দেওয়ার পরিবেশের সঙ্গে মিশিয়ে সার তৈরি করে। কিন্তু বজ্র পদার্থ প্লাস্টিক এমন একটি বজ্র পদার্থ তারপর পচে যায় না মাটিতে মিশে যায় না।

সেদিন থেকে যাওয়ার ফলে পরিবেশ দূষিত হয় বিভিন্নভাবে বর্তমানে পরিবেশবাদীরা। প্লাস্টিক নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন আর এই সময়ে এমন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা।

আমাদের আজকের আলোচনার কিভাবে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা তা নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের আলোচনাটি

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা সেখানের রাস্তাঘাট তৈরি করা হচ্ছে প্লাস্টিক দিয়ে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে সেখানে পাঁচটি এত পরিমান বেড়ে গিয়েছিল। যে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মধ্যে ছিল। আর এই সময় সেখানকার বিজ্ঞানীরা এমন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন অর্থাৎ এই ফেলে দেওয়া বজ্র পদার্থ প্লাস্টিক।

তারা কাজে লাগিয়েছেন ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছেন। রাস্তা তৈরিতে শুধু প্লাস্টিক তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি প্রয়োজন হয়।

যেভাবে প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে

আগরতলায় ফেলে দেয়া শতকরা শতকরা ৬০% প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরি করে ফেলেছেন। তারা প্লাস্টিকের পাশাপাশি ব্যবহার করেছেন বিটুমিন অর্থাৎ তারা যে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন সেটি পদার্থ পরিবেশের ক্ষতি কারক।

যে কারণে তারা সেই দুটি পদার্থ পরিবেশে ফেলে দেননি। তারা সেই দুটি পদার্থ নিয়ে এক করে প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরি করে ফেলেছেন।

এই রাস্তা তৈরিতে মোট খরচ হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। এবং ১৯ লাখ টন প্লাস্টিক। জার ফলে পরিবেশ এই ১৯ লাখ টন প্লাস্টিক আর দূষিত করতে পারছে না। এবং এই ১৯ লাখ প্রাক প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

আমরা যদি কিছু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে আমাদের পরিবেশ আর দূষিত হবে না। যেমন আমরা প্লাস্টিকের ব্যবহার করা শিখে গেছি। তাই আমরা প্লাস্টিক ফেলে না দিয়ে যদি সেই প্লাস্টিক আমার অন্যকোন কাজে লাগায়। তাহলে আর পরিবেশ দূষিত হবে না।

আশা করি আপনারা আপনাদের অনেক অজানা তথ্যের রহস্যময় উত্তর পেয়ে গেছেন। আমরা আমাদের পরবর্তী আলোচনায় আপনাদের আরো কিছু রহস্যময় প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। সুস্থ  থাকুন, পাশে থাকবেন। চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইট তদন্তে।