দীঘা টাইটানিক হোটেল বা জাহাজ বাড়ী

দীঘায় বিগত কয়েক বছর ধরেই এই নির্মিত অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর দীঘা টাইটানিক হোটেল বা জাহাজ বাড়ী এর বিল্ডিং টি, দীঘায় আগত সমস্ত পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাষুদের আকৃষ্ট করে আসছে।

আপনারা হয়তো জানেন যে, দীঘাতে একাধিক লাক্সারি বা বিলাস বহুল হোটেল রয়েছে। দীঘা সমুদ্র সৈকত সহ দীঘার হোটেল সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তো জানি। ইদানিং দীঘার হোটেল গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি অনলাইন সার্চ হচ্ছে দীঘা টাইটানিক হোটেল (Digha Titanic Hotel)। দীঘায় বিগত কয়েক বছর ধরেই এই নির্মিত অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর দীঘা টাইটানিক হোটেল বা জাহাজ বাড়ী এর বিল্ডিং টি, দীঘায় আগত সমস্ত পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাষুদের আকৃষ্ট করে আসছে। বর্তমানে এই দীঘা টাইটানিক হোটেল এর সমস্ত কাজ শেষ হয়েছে। এই হোটেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবার পর, দীঘা টাইটানিক হোটেল এর দৃশ্য যে কেউ দেখলে একটা কথা বলতে বাধ্য। ওয়াও এটা অনেক অনেক সুন্দর।

দীঘা টাইটানিক হোটেল এর দৃশ্যমান রূপ

দীঘা টাইটানিক হোটেল টি দেখতে অনেক টাই জাহাজের মত। তাই দীঘায় ভ্রমণকারী বা পর্যটকরা এই অপরূপ সৌন্দর্যের জাহাজ বাড়ি টিকে দেখলে, তাদের মনে অন্তত একবার হলেও এই হোটেলে থাকার ইচ্ছে জাগে। আর এ কারণেই ইউটিব ও গুগলে দীঘার টাইটানিক হোটেল কে নিয়ে ইদানিং অনেক সার্চ হচ্ছে। অনেকেই এই হোটেল কে দীঘার জাহাজ বাড়ি বলে থাকে।

দুই বছর আগে যখন দীঘার টাইটানিক হোটেল এর নির্মাণ কাজ চলছিল, ঠিক ঐ সময়েই এর অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম যে, যদি এইটা হোটেল হয়, তাহলে দীঘার এই টাইটানিক হোটেল এ আমরা এক রাত হলেও অবশ্যই থাকব। আর যদি এই টা রেস্টুরেন্ট বা রেঁস্তোরা হয়, তাহলে এখানে অবশ্যই রাতের খাবার খাবো।

আর তাই এই বছর যখন এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যায় এবং চালু করা হয়, তখন আমরা সেখানে আবার যাই। সেখানে যাওয়ার পর আমরা আর ও অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যা নিচে বিস্তারিত বলব।

টাইটানিক হোটেল এর বর্ণনা

প্রথমেই আমরা সেখানে ঢোকার জন্য দাড়োয়ান এর সাথে কথা বলি। তাকে জিজ্ঞেস করি যে, ভিতরে কি দেখার মত কিছু আছে? তিনি তখন উত্তরে বলেন, না এখানে কিছুই নেই। তখন আমরা যা জানতে পারি তা রীতিমত অবাক করে দেয়ার মত। এটা আসলে কোন পাব্লিক হোটেল নয়। অপরূপ সৌন্দর্যের এই বিল্ডিং টি আসলে একটি সরকারী অফিস। এটি হলো দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর অফিস, যেটা জাহাজ বাড়ি নামে অধিক পরিচিত। বন্ধুরা হয়তো আমার মতো আপনারাও অনেক টা হতাশ হয়ে গেলেন, যেমন টা আমি দীঘাতে গিয়ে হয়ে ছিলাম।

অপরূপ সৌন্দর্যের এই বিল্ডিং টি একটি সরকারী অফিস। এর ভিতরে ভ্রমণকারীদের ঢোকার কোন অনুমুতি নেই। তবুও আমরা যতটা পেরেছি ঠিক ততটাই তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। এর ভিতরে অপরূপ সৌন্দর্যে সব কিছু সাজানো হয়েছে।

বিখ্যাত কষে কষা রেস্টুরেন্ট

কিন্তু এত সব হতাশার মধ্যেও রয়েছে একটা খুশির খবর। এই বিল্ডিং এর ঠিক পিছনের দিকেই রয়েছে সেই বিখ্যাত কষে কষা রেস্টুরেন্ট (koshe kosha restaurant)। কলকাতার বিখ্যাত কষে কষা রেস্টুরেন্ট এর একাধিক ব্রাঞ্চ রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তেমনি দীঘাতেও নতুন করে খোলা হয়েছে কষে কষা রেস্টুরেন্ট (koshe kosha restaurant)। এখানে ভেজ থালা খাবার এর দাম নেবে ৩১৫ টাকা। আর নন-ভেজ থালা খাবার এর দাম পরবে ৫১৫ টাকা।

দীঘার জাহাজ বাড়ী তে আপনারা পেয়ে যাবেন আমাদের এশিয়া মহাদেশের সবচাইতে ভালো মানে 7D Theater and VR Rides (Virtual Reality)।

দীঘা টাইটানিক হোটেল বা জাহাজ বাড়ী এর স্থানঃ দীঘা রেল স্টেশন থেকে আমাদের যেতে হবে দীঘা অমরাবতী পার্ক। অমরাবতীর পাশেই অবস্থিত দীঘার এই জাহাজ বাড়ী। আর এই জাহাজ বাড়ীর পিছনেই হলো কষে কষা রেস্টুরেন্ট।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More