আপনার ডিভাইস এ রয়েছে ভাইরাস!!জেনে নিন ক্ষতিকর ভাইরাসের তথ্য

জেনে নিন ক্ষতিকর ভাইরাসের তথ্য

ভাইরাস বলতে আমরা বুঝি ক্ষতিকারক কিছু পদার্থ যারা জীবদেহে বসবাস করে এবং জীবদেহের ক্ষতি করে। যুগে যুগে অনেক মরণঘাতী ভাইরাস এর আবির্ভাব ঘটে এই দুনিয়ায়। প্রত্যেকটি ভাইরাস মোকাবেলা সম্ভব করা না গেলেও, ভাইরাস থেকে বাঁচার কিছু উপায় জানা গেছে।

আমরা অনেকেই জানি যে ভাইরাস শুধু মানব  দেহে নয়। ভাইরাস জীবনহীন কিছু যন্ত্রপাতিতেও সংক্রমণ করতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক যন্ত্রাংশের  ভাইরাসের কিছু ইতিকথা। ভাইরাস’ শব্দটি মূলত জীববিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও এই শব্দটি কবে থেকে কম্পিউটারের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম বোঝাতে ব্যবহৃত হলো? কেনই-বা হলো?

১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর কম্পিউটার ‘ভাইরাস’-এর জন্ম হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র ফ্রেড কোহেন পেনসিলভানিয়ার লেহিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক এক সেমিনারে প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস দেখান। একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটারে তিনি তাঁর ছোট্ট সংকেত (কোড) প্রবেশ করিয়ে মাত্র ৫ মিনিটেই গোটা যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিলেন।

আরও চারটি প্রদর্শনীতে গড়ে মাত্র আধঘণ্টা সময়েই এই কোড ব্যবহার করে সব নিরাপত্তাব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে গোটা সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন তিনি।কোহেনের উপদেষ্টা লেন অ্যাডলেম্যান কোহেনের এই নিজে থেকেই নিজের অনুলিপি (রেপ্লিকা/ কপি) সৃষ্টির প্রোগ্রামটিকে ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেন এবং একে ‘ভাইরাস’ নামে অভিহিত করেন।

সেই থেকে এমন ক্ষতিকর প্রোগ্রামের নাম হয়ে গেল কম্পিউটার ভাইরাস। কিন্তু কারও কারও মতে, এটাই প্রথম ভাইরাস নয়। ১৯৮২ সালে পেনসিলভানিয়ার ১৫ বছর বয়সী কিশোর রিচ স্ক্রেনটা এমন এক প্রোগ্রাম লেখে, যা ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে অ্যাপল টু কম্পিউটারকে সংক্রমিত করতে সক্ষম হয়েছিল।

প্রতি ৫০ বার পরপর কম্পিউটার রিবুটিংয়ের সময় এই প্রোগ্রামটি একটি ছোট্ট বার্তা দেখাত। কিন্তু এই পুরো ব্যাপারটাই ছিল মজা করার উদ্দেশ্যে, স্ক্রেনটা ও তার বন্ধুদের গণ্ডির বাইরে কেউ জানত না এবং একে ভাইরাস বলা হতো না। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন প্রথম ভাইরাসের নাম ‘ক্রিপার’ (১৯৭১)।

কেমব্রিজভিত্তিক বিবিএনের কম্পিউটার প্রোগ্রামার রবার্ট (বব) থমাস ছোট একটা প্রোগ্রাম লেখেন, যা নিজে নিজেই অনুলিপি তৈরি করতে পারত। এটা ছিল পরীক্ষামূলক।

কম্পিউটার ভাইরাসের এমন নামকরণের কারণ হলো, এই প্রোগ্রামগুলো জীবদেহের ভাইরাসের মতোই আচরণ করে থাকে। ভাইরাস যেমন কোষের মতো নিজে থেকে নিজের অনুলিপি (রেপ্লিকা) তৈরি করতে পারে না, কম্পিউটার প্রোগ্রামটিও তেমনই, প্রোগ্রামটিতে ক্লিক না করলে চালু হয় না।

ভাইরাস যেমন এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়ায়, কম্পিউটার ভাইরাসও তেমনই এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়ায়। দুটোই ক্ষতিকর ও আকারে ছোট।

এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে ক্ষতিকর ১০টি ভাইরাসের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে স্ট্রম ট্রোজান, মেলিসা, মাই ডুম, স্যাসার, অ্যানা কুর্নিকোভা, মরিস অ্যান্ড কনসেপ্ট ইত্যাদ।

 

 

You might also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More