বানর থেকে নয় আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন মানুষকে

আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন মানুষকে বানর থেকে নয়

মানুষ সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মতবাদ প্রচলিত।  তার মধ্যে আমরা বিশ্বাস করি কেউ ধর্মীয় মতবাদ কেউ বা বৈজ্ঞানিক মতবাদ।  বিজ্ঞানীরা মানুষ সৃষ্টির পিছনে কিছু বিবর্তন দাঁড় করিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তা ধর্মীয় মতবাদ দিয়েছেন ইসলাম ধর্মে ।ইসলাম ধর্মীয় মতবাদ অন্যান্য ধর্মে অন্যান্য ধর্মীয় মতবাদ। চলুন জেনে নেয়া যাক মানব সৃষ্টির সেই সব মতবাদ গুলো।

১.বৈজ্ঞানিক মতবাদঃ

বিজ্ঞানের সূত্র ব্যবহার করে কোন নিয়ম বা ঘটনা দাঁড় করানো হয়। যে ঘটনাকে বৈজ্ঞানিকভাবে সম্পূর্ণভাবে সঠিক বা ভুল প্রমাণ করা যায় না সেটাই মতবাদ। যখন এই মতবাদ সম্পূর্ণভাবে সঠিক প্রমাণ করা হয় তখন সেটা হয়ে যায় আবিষ্কার। আর যদি তা ভুল প্রমাণ হয় তখন সেটা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে অনেকে মনে করে মতবাদ হচ্ছে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে প্রমানিত একটি প্রকৃত সত্য।

আর একথা ভেবেই তারা অন্ধের মত এইসব মতবাদে বিশ্বাস।প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবী তার আকার ধারন করে এবং ধীরে ধীরে শিতল হতে থাকে। এরপর পৃথিবীর স্থলভাগের উপরে কোটি কোটি বছর ধরে বৃষ্টি হতে থাকে এবং আস্তে আস্তে এই পাথর গলতে শুরু করে। এরপর প্রায় ৩০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের সৃষ্টি হয়। এরপর এই প্রাণী কোটি কোটি বছর ধরে বিবর্তিত হতে থাকে এবং বিভিন্ন প্রাণীতে পরিনত হয়। প্রায় ২ থেকে ৪ লক্ষ বছর আগে বানরের বিবর্তন হয়ে মানুষ সৃষ্টি হয়।

২. ইসলাম ধর্মের তত্ত্বঃ

পিতা আদম (আ.)-এর সৃষ্টি নিয়ে বিভিন্ন বস্তুবাদী গবেষক দার্শনিক নানা বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন। যেমন—আদি মানব সম্প্রদায় বানর ছিল! কালের আবর্তনে পর্যায়ক্রমে বানর থেকে মানবে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বর্তমান যুগে কি বিশ্বের কোথাও একটি বানর মানবে রূপান্তরিত হয়ে জীবন যাপন করছে। কিংবা কোনো বানরের গর্ভ থেকে মানব সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে ও বেঁচে আছে।

এর জবাব হলো নেতিবাচক। এটা সকলের জানা। আদি মানব কী বস্তু থেকে সৃষ্টি তা মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে মহান আল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে, কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা। (সুরা সাজদাহ, আয়াত পৃথিবীতে প্রথম মানব আদম (আ.) মাটি থেকে এবং প্রথম মানবী হাওয়া (আ.) আদমের পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি। এতদ্ব্যতীত সকল মানব-মানবী এক ফোঁটা অপবিত্র তরল পদার্থ (বীর্য) থেকে অদ্যাবধি সৃষ্টি করা হয়েছে।

এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, অতঃপর আমি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে জমাট বাঁধা রক্ত থেকে এরপর পূর্ণ আকৃতি ও অপূর্ণ আকৃতি বিশিষ্ট গোশতপিণ্ড থেকে তোমাদের কাছে ব্যক্ত করি। (সুরা হজ্জ আয়াত: ৫) এভাবে আজও মানব বংশবিস্তার অব্যাহত আছে বিবাহ-বন্ধন ও স্বামী-স্ত্রীর মিলন ব্যবস্থার মাধ্যমে যাতে মহান আল্লাহর মহৎ উদ্দেশ্য সফল হয়।

৩.অন্যান্য ধর্মীয় তত্বঃ

প্রায় ছয় হাজার বছর আগে ঈশ্বর আকাশমণ্ডল, পৃথিবী, প্রাণী, উদ্ভিদ ও মানুষ সৃষ্টি করেন। প্রায় চার হাজার চারশ বছর আগে নোহর জলপ্লাবণ হয়। প্রায় দুই হাজার বছর আগে যীশু খ্রীষ্ট জন্মগ্রহন করেন,কিন্তু

কিছু কিছু থিওলজিয়ান বলেন, বাইবেলের সৃষ্টির ছয় দিন আসলে ২৪ ঘন্টার এক দিন আর হবে না। আবার অনেকে মনে করে আদি ১:১ এবং আদি ১:২ পদের মধ্যে কোটি কোটি বছরের ব্যবধান রয়েছে, যাকে বলা হয় গ্যাপথিওরি। কিভাবে এলো এই গ্যাপথিওরি?

 

 

You might also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More