বিয়েই তার ‘পেশা’, ২৯ বছর বয়সেই করেছে ৯ বিয়ে।

বিয়েই তার 'পেশা', ২৯ বছর বয়সেই করেছে ৯ বিয়ে।

বয়স মাত্র ২৯ বছর।বিয়ের মাধ্যমেই প্রতারণা হয়ে উঠেছে তাঁর পেশা। একের পর একে বিয়ে করেছেন ৯টি। তবে তার শেষ রক্ষা হয়নি। ৯ নম্বর বিয়ে করতে এসে পাকড়াও হয়েছেন পুলিশের জালে। শেষ পর্যন্ত ঠিকানা হয়েছে জেল।পাহাড়তলী থানা পুলিশ ও চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে গত শুক্রবার রাতে ওই অভিযান চালায়।


এমনই এক বিয়ে প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ । গ্রেপ্তার ব্যক্তি মোহাম্মদ সোলাইমান পাহাড়তলী এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। তাঁর দেশের বাড়ি বরগুনা জেলায়। বাড়ী থেকে নবম স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশ।

ঘটনার বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (বন্দর) জনাব, আবু বকর সিদ্দিক বলেছেন, পেশায় গার্মেন্ট শ্রমিক সোলাইমান বেতন আট হাজার টাকা।সে প্রতারণার কৌশল হিসেবে ব্যভার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, অল্প বয়সী মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করে। প্রতারণার অংশ হিসেবে নিজকে বিভিন্ন সময় সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা কখনো পুলিশ বা কখনো সেনাবাহিনী কিংবা নৌবাহিনীর অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন।

শুধু তাই নয়, নিজের ছবি সম্পাদনা করে এমনভাবে দেখায় যাতে দেখা যায়,সে সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। এসব ছবি মেয়েদের কাছে পাঠিয়ে সম্পর্কের ভিত মজবুত করে।

 

- Advertisements -

এরপর মেয়েদের বিয়ে করে। আর বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন যেমন বউয়ের ভাই-বোনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। পাশাপাশি স্ত্রীদের নামে এনজিওর থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে যায়।



এভাবে এক স্ত্রীর কাছ থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে একই ভাবে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে। এভাবেই ৯টি বিয়ে করেছে সে।

সর্বশেষ অষ্টম স্ত্রী রাহেলার নামে এনজিও থেকে ঋণের এক লাখ টাকা এবং তার ভাইদের চাকরি দেওয়ার নাম করে আড়াই লাখসহ সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সোলায়মান। এই বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেনের কাছে অভিযোগ করে ওই পরিবার। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর ১৫ বছর বয়সী নবম স্ত্রীর মা রহিমা আক্তার বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করছেন। এ ছাড়াও ৮ম স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

- Advertisements -

You might also like