আপনার কি কখনো মন ভেঙেছে

আপনার কি কখনো মন ভেঙেছে ? কখনো হার্ট্‌স ব্রেক হয়েছে?

আপনারা হয়তো প্রতিদিন বিভিন্ন মুভি, নাটকে ও বাস্তবে লাভ স্টরি দেখেছেন। এটাও দেখেছেন যে প্রতিদিন অনেক লাভ স্টরি ব্যার্থ হয়ে যাচ্ছে। যেমন অস্কার ওয়াইল্ড (Oscar Wilde) একবার বলেছিলেন, ” (Every Heart is made to be broken)”. তো কখনো কখনো এমন ও হয় যে, আমাদের মন ভেঙ্গে যায়। যার ফলে হার্ট্‌স ব্রেক হতেই থাকে।

কিন্তু এই হার্ট্‌স ব্রেক কি শুধু মাত্র একটি কাল্পনিক ঘটনা বা কথা?? নাকি এটা আমাদের শরীর, মন ও আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপরেও প্রভাব ফেলে? আর আপনাদের কি কখনো হার্ট্‌স ব্রেক হয়েছে? আর যদি হয়েই যায় কখনো, তাহলে কি করা উচিৎ? আজকের এই পোস্টে আমরা এসব সম্পর্কে জানব। আমরা আর ও জানব হার্ট্‌ ব্রেকের ফলে আমাদের কি ঘটে। আর এর দ্বারা সৃষ্টি হওয়া আবেগীয় ব্যাথা বা ইমোশনাল পেইন এবং মনের ভিতর হওয়া সেই ব্যাথা থেকে কিভাবে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে। যদি আপনারা এই পোস্ট টি পুরো পড়েন, তাহলে আপনি এমন সব তথ্য জানতে পারবেন, যেগুলো আপনার জীবন বদলাতে সাহায্য করবে।

 কবি নিজের ব্যাথাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন যে,  “কে বলেছে যে ন্যাচার আর সিগন্যাচার কখনো পাল্টাতে পারে না? যদি হাতে ব্যাথা লাগে, তাহলে সিগন্যাচার বদলে যাবে।  আর যদি মনে ব্যাথা লাগে, তাহলে ন্যাচার বা স্বভাব বদলে যাবে।”

হার্ট ব্রেক (Heart Break) কি?

এই হার্ট ব্রেক (Heart Break) হল একটি আনফর্চুনেট হিউম্যান এক্সপেরিয়্যান্স (Unfortunate human experience) বা দুর্ভাগ্যজনক মানষিক অভিজ্ঞতা। যা যে কোন বয়সে, যে কারোর সাথে এবং যে কোন পরিস্থিতিতে আসতে পারে।

(Heart Break) হার্ট ব্রেক কেন হয় ?

আমরা মানুষেরা যখন কোন ব্যাক্তি, বস্তু বা কোন বিষয়ের উপর ইমোশনাল (Emotional) বা আবেগীয় ভাবে প্রায় পুরোপুরী নির্ভর হয়ে পরি,  আর সেই ব্যাক্তি, বিষয় বা বস্তুটির উপর পুরোপুরি বিশ্বাস স্থাপন করে ফেলি, এবং সেই বিশ্বাস বা নির্ভর করার বিপরীতে যদি বিশ্বাস ঘাতকতা চলে আসে, তাহলে তখনই আমাদের হার্ট ব্রেক (Heart Break) বা মন ভেঙ্গে যায়। আমাদের কোন পরিবারের সদস্য কিংবা খুব কাছের কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে হারিয়ে ফেলার কারণেও হার্ট ব্রেক হতে পারে। অথবা আমাদের কোন পোষা প্রাণী, পছন্দের চাকরি, কিংবা কোন গোল্ডেন অপর্চুনিটি (সুযোগ) হারানো টাও এর কারণ হতে পারে।

আর কিশোর বয়সে বা (Teen age)-এ হওয়া আবেগপ্রবণ সম্পর্ক বা (Romantic relationship) -এর অনাকাঙ্ক্ষিত হঠাৎ সমাপ্তি টা আমাদের সব থেকে বেশি ক্ষত বা কষ্ট দিয়ে থাকে।

রিসার্চাররা একটা রিসার্চ থেকে জানতে পেরেছেন যে, আমাদের ব্রেনে অ্যান্টিরীওর সিংগুলেট কর্টেক্স (Anterior Cingulate Cortex)- এর যে জায়গাটা আছে, যে জায়গাটা আমাদের ফিজিক্যাল পেইন হলে একটিভ হয়, অবিশ্বাস্য ভাবে সেই জায়গাটাও ইমোশনাল পেইন হলেও একটিভ হয়ে যায়। হয়তো প্রথমে মানুষ ভুল ভাবতো যে, ফিজিক্যাল পেইন আর ইমোশনাল পেইন দুটো আলাদা জিনিশ। কিন্তু এখন কোন পার্থক্যই হয় না।

হার্ট ব্রেকস্‌ এর ব্যাথাও ঠিক তেমনই হয়, যেমন আমাদের শরীরের কোন জায়গায় আঘাত লাগলে হয়। আর ঠিক এমন ই মনে হয় যে, যেন হার্ট (Heart) বা হৃদপিন্ডের মধ্যে কেউ ছুরি চালিয়ে দিয়েছে।

বৈজ্ঞনিক ব্যাখ্যাঃ

হার্ট ব্রেক আমাদের শরীরে কেমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে? বৈজ্ঞানিক দিক থেকে বলা হয় যে, মানব শরীরের অ্যাড্রেনাল গ্লান্ড (Adrenal Gland), হরমোন কর্টিসল (Hormone Cortisol যাকে স্টেরয়েড হরমোন (Steroid Hormone) বলা হয়ে থাকে) এর মাত্রা ব্লাড স্ট্রিমে বাড়িয়ে দেয়। আর এই হরমোন ই আমাদের ফ্লাইট এবং ফাইট রেস্পন্স দেয়। এছাড়াও ফেয়ার, ইঞ্জাইটি অথবা ডিপ্রেশনের মত ইমোশনকেও বাড়িয়ে দেয়। ঠিক তেমনই ভালো নিউরোট্রান্সমিটার যেমন সিরোটনিন (Serotonin), ডোপামিন (Dopamine), নরেপিনেফ্রিং (Norepinephring) এবং গাবা (Gaba) এর শরীরে ব্যালান্স ও বেড়ে যায়। এই গুলো সাধারনত আমাদের মুড (Mood) – কে রেগুলেট করে।

সাইকোলজিস্ট কাইফেন

নিউইয়র্কের একজন বিখ্যাত সাইকোলজিস্ট কাইফেন রিলেশনশিপের ফলে হওয়া হার্ট ব্রেক কেসের ব্রেন স্ক্যান করে দেখেন। রিপোর্ট দেখার পর তিনি অবাক হয়ে যান। যখন ব্রেন স্ক্যানে ধরা পরে হার্ট ব্রেক কেসের দ্বারা মানুষের উপরে যে প্রভাব পরে, সেটা ঠিক তেমনই হয়, যখন কোন ব্যাক্তি কোকেন কিংবা অ্যালকোহল অর্থ্যাৎ কেইন ড্রাগস্‌ ছাড়ার পর তাদের যেরকম লক্ষন দেখা যায় ঠিক তেমনই। তিনি মনে করেন কমচে কম এই অ্যাডিক্টেড মানুষ গুলো এটা তো জানেন যে,  নেশা করার ফলে তাদের সাথে ঠিক কেমন হতে পারে।

কিন্তু রিলেশনসিপে হার্ট ব্রেক হওয়া মানুষেরা তাদের এই অবস্থার ব্যাপারে তেমন কোন আভাস পায় না। কারণ সেই সময় তারা ফিজিক্যাল ভাবে নয়, বরং ইমোশনাল ট্রমার মধ্যে জরিয়ে পরে। কিন্তু আপনারা যেমন সবাই জানেন যে, ফিজিক্যাল আঘাত, পেইন কিলার, ব্যান্ডেজ বা ক্রিমের দ্বারা কমানো যেতে পারে। কিন্তু ইমোশনাল আঘাত? সেটাও এক প্রকার সাইকোলজিক্যাল ইঞ্জুরি(Injury)। এর এটি অনেক ভায়ানক। কারণ এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure), বিষণ্ণতা (Depression), লো প্রোডাক্টিভিটি আর লো আইকিউ ও হতে পারে। কখনো কখনো তাদের চোখ থেকে ঘুম পর্যন্ত উড়ে যায়। যেমন অনেকেই বলে থাকে যে, “মানুষের ঘুম শব্দ কেড়ে নেয়। কিন্তু আমাকে তার শব্দ ঘুমাতেই দেয় না।” তো এমন হবার আসল কারণ টা কি? যে কারণে হার্ট ব্রেক আমাদের কাছে এখন একটি সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে?

আমাদের সংস্কৃতি

আমাদের সংস্কৃতি ওয়েস্টার্ন কালচারের থেকে একদম আলাদা। যতই আমরা মডার্ন হয়ে যাই না কেন, আমাদের ভিতর টা এখন ও ঠিক একই রয়েছে। আমরা এখন ও রিলেশনসিপকে মূল্য দেই, সম্মান করি। (এখানে রিলেশন বলতে  যে কোন সম্পর্ক হতে পারে।) যারা রিলেশনসিপকে মুল্য দেয়, তারা ইমোশনালী অ্যাটাসড বা আবেগের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। আমরা আমাদের পিতা মাতা কিংবা একটা জেনারেশন আগেও এত হার্ট ব্রেক দেখি নি যত টা আজকাল দেখা যায়। কারণ সেই জ়েনারেশনে বেশির ভাগ বিয়ে পরিবারের সদস্য দ্বারা আয়োজন করে করা হত। যা শেষ পর্যন্ত টিকত। এছাড়াও ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল সহ যেখানে একটা জিনের ভ্যারিয়েন্ট লক্ষ্য করা যায়। যাকে সিরোটনিন ট্রান্সপর্টার জিন (Serotonin Transporter Gene ) বলা হয়ে থাকে। যা আমাদের ক্রিটিসিজম (criticism), রিজেকশন আর ডিস-এপ্রুভালের সহ্য ক্ষমতাকের কমিয়ে দেয়। আর এই সব কারণের জন্যই রিজেকশন আর তার দ্বারা হওয়া হার্ট ব্রেক আমাদের ওয়েস্টার্ন লোকের থেকে বেশি আঘাত দেয়।

আজকের জেনারেশন

কিন্তু আজকের জেনারেশন বেশি ডেট করে। আর নিজেদের পার্টনারকে নিজেরাই খুজে নেয়। তাই হার্ট ব্রেকের পরিমাণ আগের তুলনায় বহু গুণে বেরে গিয়েছে। রোমান্টিক রিলেশন্সিপের কারনে হার্ট ব্রেক হওয়া এখন একটি সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে গেছে। একটা অনুমান অনুযায়ী যদি শুধু  মাত্র ভারতবর্ষের কথাই ধরা হয়, তাহলে এখানে ১ বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই হার্ট ব্রেকের কারণে সুইসাইড করে ফেলে। আর যারা করে না, তাদের লাইফ পুরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তারপর অ্যাডিকশন,  অর্থহীন বা অনীচ্ছাকৃত সম্পর্ক, ক্রাইম, সবাইকে ঘৃনা করা, একাকীত্ব, আর আইসোলেশন পর্যন্ত চলে যায়। প্রতিটি মানুষ নিজের একসন এর কারনে তার মেইক নতুবা ব্রেক হয়। কিন্তু ব্রেক আপের রিয়েলিটি টাকে গ্রহন করাটাই সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ। গ্রহন করতে হবে যে, “হ্যা, আমার সাথে এটা হয়েছে। আর যে কারোর সাথে এইটা হতে পারে।” এটাকে পার্সোনালি বা ব্যাক্তিগত ভাবে নেয়ার কোন দরকার নাই। কিন্তু মানুষ এটাকে পার্সোনালি কখন নেয়? যখন মানুষ উক্ত ব্যাক্তির উপর আসক্ত হয়ে যায়। তার উপর পুরোপুরি নির্ভর হয়ে যায়। কিংবা সে শুধু মাত্র উক্ত ব্যাক্তির উপর সুখ বা শান্তি খুজে পায়। কিংবা সে তাকেই নিজের জীবনের সব থেকে বড় চাওয়া-পাওয়া বা অ্যাচাইভমেন্ট ভেবে নেয়। সেই কারণে জীবনে একটি উদ্দেশ্য, তথা লক্ষ্য থাকা দরকার।

আপনার ভাবনা

আপনাকে গভীর ভাবে এটা ভাবতে হবে যে, আপনার জীবনে মানুষ শুধু মাত্র আপনাকে সঙ্গ দিতে পারবে। কিন্তু কাউকে অ্যাচাইভ করাটা আপনার একমাত্র লক্ষ্য নয়। আপনার লক্ষ্য হল আপনার ভবিষ্যত ও পুরো জ়ীবনের পরিকল্পনা বা আপনার উদ্দেশ্য। কোন কাজ টা করতে আপনি পৃথিবীতে এসেছেন। জীবনের মানে খুজে বের করতে হবে। আপনার উদ্দেশ্য সফল করতে হবে। কোন মানুষ কে নয়। আপনার কোন মানুষকে প্রয়োজন নেই আপনাকে ভ্যালিডেট বা সত্যতা প্রতিপন্ন করার জন্য । আপনার উদ্দেশ্যই আপনাকে ভ্যালিডেট (Validate) করবে।

ব্রেক আপের রিয়েলিটি

মানছি যে, ব্রেক আপের রিয়েলিটি কে গ্রহন করা প্রথমে খুবই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে যায়। কিন্তু জীবন ও সময় তো কোন কিছুর জন্য থেমে থাকে না।  তাই সময়ের সাথে সাথে আপনাকেও মুভ অন হতে হবে। কিন্তু আগের থেকে অনেক টাই শক্তিশালী মনোভাব নিয়ে। আর আগের থেকে বেশি ভালোবাসার উপযুক্ত হয়ে। কিন্তু কিছু মানুষ পরিস্থিতীর পর আর কখনোই এই দিকে আসে না। কিংবা তাদের চিন্তা ভাবনা গুলো নেগেটিভ হয়ে যায়। অনেক সময় তারা মনুষত্য এর দিক থেকেও মুখ ঘুরিয়ে নেয়। সবাইকে ঘৃনার দৃষ্টিতে দেখে। কিন্তু এটা করা টা ঠিক নয়। কারণ সবাই এক রকম হয় না। সবার মন মানুষিকতা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। এটা আমাদের এক ধরনের দূর্বলতা। এটা এর পরের সময়ে ভালোবাসতে কিংবা ভালোবাসা পেতে বাধা সৃষ্টি করবে। আপনাদের এই সব জিনিস থেকে ভয় পাওয়া কিংবা লুকানোর কোন প্রয়োজন নেই। এই সমস্যা গুলো্র সম্মুখীন হয়ে সমাধান করতে হবে। এগুলো থেকে পালিয়ে বেরানোর চেষ্টা করলে তা আপনাকে আর ও মানষিক যন্ত্রনা দেবে। আপনি আপনার মনকে যত শক্ত করবেন, তত দ্রুত এই সব সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন। আর সামনে যা পাবেন, তা আগের থেকেও অনেক ভালো পাবেন। কারণ মানুষ জীবনে সেটাই পায়, যেটার সে উপযুক্ত।

সোশাল সাপোর্ট সিস্টেম

ব্রেক আপের পর একটা সোশাল সাপোর্ট সিস্টেম বানানোর খুবই প্রয়োজন আছে। আর এখানেই আপনার পরিবার ও বন্ধু কাজে দিবে। এক গবেষনায় জানা গেছে, সোশাল সাপোর্ট সিস্টেম ব্রেক আপের পেইনকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়। কারণ এ সময় যত একাকী থাকবেন, তত আপনার সেই রিলেশনসিপের সুন্দর মূহুর্ত গুলোর কথা মনে পরবে। আর যদি আপনি অন্য সবার সাথে সময় দিয়ে  নিজেকে ব্যাস্ত রাখেন, তাহলে আপনি সেই সব মুহুর্ত গুলো ধীরে ধীরে ভুলতে শুরু করবেন। এছাড়াও সোশাল সাপোর্ট সিস্টেমে আপনি আপনার, আবেগ ও অনুভুতি গুলোকে মন খুলে ব্যাখ্যা বা শেয়ার করতে পারবেন। এর ফলে আপনার চাপ কমে আসবে। যার ফলে স্ট্রেচ হরমোনের বিল্ড আপ কম হয়।আর ব্রেক আপের পর সব ধরনের নেগেটিভ ফিলিংস গুলোকে আসতে বাধা প্রধান করে। কারণ এই সময়কে নেগেটিভ ফিলিংসকে যতটা দূরে রাখা যায়, ততই ভাল। কারণ এই নেগেটিভ ফিলিংস আপনারই ক্ষতি করবে। এটা আপনার মাইন্ড আর হেলথ কে খারাপ করে সব দিকে নেগেটিভিটি ছড়াবে। রাগ, হিংসা, অহংকার এবং ডিপ্রেসনের মত খারাপ ফিলিংস আপনাকে এক্সপেরিয়েন্স করাবে।

একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে যে,  কাউকে ফরগিভ বা ক্ষমা করার মানে হেরে যাওয়া নয়। বরং এটা একটা শিক্ষা। এটা একটা স্ট্রেন্থ। যা আপনার ব্যাথাকে অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। জীবনে সেই সুখী ও সফল হতে পারে, যে ব্যক্তি ক্ষমা চাইতে পারে। আর যে ব্যক্তি সবাইকে ক্ষমা করতে পারে। মনে রাখবেন, জীবন একটি যুদ্ধের মত। আর এই জীবন যুদ্ধে এটা একটা মোড় মাত্র। এই টা থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যেটাকে আপনাকে একটা অপর্চুনিটিতে কনভার্ট করতে হবে। নিজেকে পূর্বের তুলনায় আর ও অনেক বেশি স্ট্রং বানানোর জন্য। আর আপনার কাছে তো সমস্ত হাতিয়ার আছেই। আপনার নিজের জন্য, আপনার পরিবারের জন্য অথবা দেশের জন্য আপনাকে জিততে হবে। যেখানে আপনার এখন ও অনেকটা সময় বাকি আছে এবং অনেক কিছু করার আছে। আর হ্যাঁ, আপনাকে জিততে হবে তার ও জন্য, যে আপনাকে এই ব্যাথাটা দিয়েছে। যেমন একটা কথা আছে, “One day you will remember me, and think how much i was love you. After realize, you will hate your self for my goes”

You might also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More