এনআইডির নাম পরিবর্তন করে সাহেদ করিম থেকে মোহাম্মদ সাহেদ

ভোটার আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন করে সাহেদ করিম থেকে মোহাম্মদ সাহেদ

ভোটার আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন করে সাহেদ করিম থেকে মোহাম্মদ সাহেদ

রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড এর চেয়ারম্যান সাহেদ করিম। তিনি তার ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করেছিলেন। সাহেদ করিম প্রায় বছর খানিক আগে ভোটার আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন করে সাহেদ করিম থেকে মোহাম্মদ সাহেদ করে ফেলেন।

রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড এর চেয়ারম্যান সাহেদ করিম একের অধিক জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করেছেন। আলোচনায় এমন বিষয় আসার পর নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা ভোটার আইডি কার্ডের অনুবিভাগ বিষয়টি খুজে দেখেছে। এনআইডি অনুবিভাগ জানায় যে, তারা প্রাথমিকভাবে দেখতে পেয়েছে যে, গত বছর রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড এর চেয়ারম্যান সাহেদ করিম প্রয়োজনীয় সমস্ত বৈধ দলিল ও কাগজপত্র দাখিল করে তিনি তার ভোটার আইডি কার্ডের নাম বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছিলেন। তারা আরও জানায় যে, বিষয়টি গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোনো ধরনের প্রতারণার বিষয় উপস্থিত লক্ষ্য করা যায়, তাহলে সরাসরি আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. সাইদুল ইসলাম বলেন যে, রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড এর চেয়ারম্যান সাহেদ করিম এর পরিচয়পত্রের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে খোজ নিয়ে দেখেছেন। ২০১৯ সালে সাহেদ করিম তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন। নাম সংশোধনের জন্য প্রমাণ হিসেবে জন্ম নিবন্ধন সনদ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এর ও-লেভেলের একটি সনদ, পাসপোর্টের কপি ও নাগরিকত্ব সনদ দাখিল করেছিলেন। সাহেদ করিম এর জমাদান কৃত নাগরিকত্ব সনদ ও জন্ম নিবন্ধন প্রাথমিক তদন্তে যথাযথ সত্যতা পাওয়া গেছে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এর ও লেভেলের সার্টিফিকেট টির বৈধতা যাচাই করা হয়নি। কোথাও কোনো প্রকার গ্যাপ বা দূর্নীতি আছে কি না বা আর কোনো যোগসূত্র এই ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধনের সাথে আছে কি না, সে বিষয়ে আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো তথ্য মিথ্যা বা গোপন কোন তথ্য জমা দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাইদুল ইসলাম আরও বলেন, তাঁকে এনআইডি বা ভোটার আইডি কার্ডের অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধনের আবেদন করার প্রায় বছর খানেক পূর্বেই রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড এর চেয়ারম্যান সাহেদ করিম একটি নতুন পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড করতে এসেছিলেন। তাঁর আঙুলের ছাপ গ্রহণ করার পর ঐ সময় দেখা যায়, তাঁর নামে ইতিমধ্যেই অন্য একটি পরিচয়পত্র আছে। ফলে তাকে তখন ঐ পরিচয়পত্র বা এনআইডি বা ভোটার আইডি কার্ড করে দেয়া হয় নি।

একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র রাখা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল তথ্য দেওয়া আইন অনুযায়ী সাজা হবে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা উভয়দন্ড।

You might also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More